আমডাঙার দায়িত্ত্ব এবার থেকে নিজে নিয়ে ‘যুবরাজ’ বুঝিয়ে দিতে চান ‘কত ধানে কত চাল’ নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য September 7, 2018 গত ২৮ শে আগস্ট আমডাঙার বইকগাছিতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। যেখানে তৃনমূলের দুই এবং সিপিএমের এক কর্মী খুন হন। আর এরপরই এই গন্ডগোলকে ঘিরে শুরু হয় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা। এমনই এক উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সেই আমডাঙায় মিছিল এবং প্রতিবাদ সভার ডাক দেয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃনমূল কংগ্রেস। সেইমত এদিন বিকেল ৩ টে নাগাদ বইছগাছির তপনপুর থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। এদিনের এই মিছিলে তৃনমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃনমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলার পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ, যুব সভাপতি পার্থ ভৌমিক সহ একাধিক নেতা কর্মীরা। তবে এদিন এই সভা শুরুর সময় একদিকে বৃষ্টি আর অন্যদিকে সভার ১০০ মিটার দূরে আমগাছিতে শটসার্কিট থেকে আগুন জ্বলে উঠলে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পরে অবশ্য এই বৃষ্টি থেমে যায় ও আগুন নিভে যায়। সেই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের যুবরাজ বলেন, আমাদের সভা শুরুর সময় বৃষ্টি বন্ধ গেল। আগুনও নিভে গেল। কারণ, জল ও আগুন তৃণমূল কংগ্রেসকে কিছু করতে পারেনি। এদিন সিপিএমের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃনমূলের যুবরাজ বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা সূর্যকান্ত মিশ্র নয়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বাংলার যে প্রান্তেই জাকির ভুলু (আমডাঙা কাণ্ডে ফেরার সিপিএমে কর্মী) লুকিয়ে থাকুক, আমরা অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে ঠিক খুঁজে বের করব। তাই সিপিএমের হার্মাদরা এখানে যেভাবে আমাদের দুজন কর্মীকে খুন করেছে সেই দোষীদের খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে নির্দেশ দিয়েছেন”। এর পাশাপাশি তৃনমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে বদলের পালা না চেয়ে বদলা চাইলে সিপিএমের অনেকেই জেলে থাকত বলে হুঁশিয়ারি দেন যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও এই আমডাঙায় যে দুজন তৃনমূল কর্মীর হাত উড়ে গিয়েছিল তাঁদের কৃত্রিম হাত লাগিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এদিনের সভা থেকে এই আমডাঙার দায়িত্ত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তৃনমূলের যুবরাজ। তিনি দাবি করেন, কত ধানে কত চাল বুঝে নেব! আমরা যে দলটা করি আমাদের হাত পা বাঁধা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদারতায় তোমরা (সিপিএম) বেঁচে যাচ্ছো। বিজেপিকেও তীব্র আক্রমন করে তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুতে খুঁটি পুজো হয়েছে। মহেশতলায় মহালয়া। আজ আমডাঙা থেকে সপ্তমী শুরু হল। বিসর্জনটা আমরা দিল্লির বুকে করে দেব! আপনার মতামত জানান -