এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন অভিষেকই, তৃণমূলে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ইঙ্গিত

একুশের লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন অভিষেকই, তৃণমূলে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ইঙ্গিত


করোনা ভাইরাসের কারণে এখন প্রতিটি রাজনৈতিক দল ঘর থেকেই আইটি সেলের মাধ্যমেই তাদের মোকাবিলা করছে। বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ হলে লাগাতার প্রচার করা হচ্ছে। রেশনে ত্রাণ নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আর বিরোধীদের সেই অভিযোগকে দমাতে সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কালীঘাট থেকে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এই ব্যাপারে দলের জেলা নেতাদের বার্তা দিলেও, রবিবারের ভিডিও কনফারেন্সে সমস্ত জেলার নেতাদের বিজেপির অপপ্রচার কিভাবে রুখে দিতে হবে, তার ব্যাপারে পথ বাতলে দিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের সমস্ত জেলার তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং কো-অর্ডিনেটরদের নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্স করে তৃণমূল কংগ্রেস।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর। আর এই বৈঠকের মধ্য দিয়েই জেলা নেতাদের কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এখন মনে করছেন যে, আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বৈতরণী পার করার প্রধান দায়িত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলেও, মূল সেনাপতি রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই এখন থেকেই করোনাকে মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকার কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিজেপির অপপ্রচার কিভাবে আটকে দিতে হবে, তার জন্য সমস্ত জেনার নেতা-নেত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ কৌশল সাজিয়ে দিলেন তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। জানা গেছে, এদিন জেলার নেতা-নেত্রীদের উদ্দেশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি যে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বদনাম করতে চাইছে, তা রাজ্যের মানুষকে বোঝাতে হবে। গুজরাটের চেয়ে বাংলার পরিস্থিতি অনেক ভালো, তা সত্ত্বেও মিথ্যা বলে বাংলার দুর্নাম করার চেষ্টা করছে। মানুষের সামনে তা তুলে ধরতে হবে।”

তবে শুধু বার্তা দিয়েই বসে থাকা নয়, আগামী 13 মে থেকে বিজেপির প্রচারের পাল্টা প্রচার শুরু করে দেওয়ার জন্য সমস্ত জেলাকে নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেকবাবু। এছাড়াও রেশনে দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীরা যে প্রচার করছে, তাকেও যাতে আটকে দেওয়া যায়, তার জন্য জেলা নেতাদের সচেতন থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। তবে শুধু নিজেদের স্বপক্ষে প্রচার করাই নয় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে সাহায্য করা হচ্ছে না বলেও তৃণমূলের আইটি সেলকে তা তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলের জেলা নেতাদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়ে কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এখন থেকেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়দানে নেমে পড়তে হবে। বিজেপির প্রচারে যাতে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না পায়, তার জন্য সকলকে ময়দানে নেমে পড়ার বার্তা দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা তথা তাঁর ভাইপো। সব মিলিয়ে এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে মেনে তৃণমূলের জেলা নেতারা কতটা বিজেপির প্রচারকে রুখে দিতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি পদক্ষেপেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে ২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান সেনাপতি হতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর, প্রশান্ত কিশোরকে রণনীতিকার হিসাবে নিয়ে আসা তাঁরই মস্তিস্কপ্রসূত। এরপরে ‘দিদিকে বলো’ বা ‘বাংলার গর্ব মমতা’ – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসেই চূড়ান্ত করেছেন পিকে। আর এবার তো করোনা পরিস্থিতিতে বিরোধী আক্রমন রুখে কিভাবে পাল্টা ঝড় তুলতে হবে – তার নীল নক্সাও কার্যত তিনি চূড়ান্ত করছেন। এখন তৃণমূলের বর্তমান সেনাপতি তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় ফেরাতে পারেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!