এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > 22 থেকে 200 হতেও বেশি সময় লাগবে না – দাবি অভিষেকের

22 থেকে 200 হতেও বেশি সময় লাগবে না – দাবি অভিষেকের

এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বাংলার 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসন দখলের জন্য স্লোগান বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তৃণমূলের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বরঞ্চ গত 2014 সালে তৃণমূল বাংলা থেকে যে 34 টা আসন পেয়েছিল, তা থেকেও কমে এবার তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 22 টিতে।

অন্যদিকে সারা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যেও বিজেপির প্রবল গতিতে উত্থান ঘটেছে। 2014 সালে বিজেপির দখলে দুটি আসন থাকলেও এবার তাদের দখলে এসেছে 18 টি আসন। আর দলের এই ভরাডুবির পরই একের পর এক বিধায়ক এবং পৌরসভার কাউন্সিলররা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন। যা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত রাজ্যের শাসক দল।

কেননা সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ফলে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে বিজেপি পাখির চোখ করলে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তার ছাপ পড়েছে তোপসিয়ার তৃণমূল ভবনের ম্যানেজারদের চোখে মুখে। তবে লড়াই, আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ফের দল ভালো জায়গায় আসবে বলে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছেন খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এহেন একটা পরিস্থিতির মাঝেই আজ পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মিছিলে পা মিলিয়ে ভবিষ্যতে দলের ভালো ফেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভূমিকায় দেখা গেল তৃণমূলের যুব রাস্তা যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

সূত্রের খবর, এদিন শহর কলকাতায় মৌলালী থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দুটি মিছিল হয়। আর এই মিছিল শেষে হাজরা মোড়ের জনসভা থেকে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা হওয়ার বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “1 থেকে যদি আমরা 19 হতে পারি, তাহলে 22 থেকে 200 হতেও আমাদের বেশি সময় লাগবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সমালোচকদের মতে, বর্তমানে রাজ্যের তৃণমূলের করুণ দশা। 42 এ 42 এর স্লোগান দিয়েও 22 এর কোটা তারা পার করতে পারেনি। আর তাই এহেন একটা পরিস্থিতিতে এবার দলীয় কর্মীদেরকে উজ্জীবিত রাখতে ভবিষ্যতে দল ভালো ফল করবে বলে নিজের চোখে মুখে আত্মপ্রত্যয়ের ছাপকেই চওড়া করলেন তৃণমূলের যুবরাজ।

এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের ভালো ফল করার ব্যাপারে এদিনের সভা মঞ্চ থেকে হুংকার ছাড়লেও তা নিয়ে পাল্টা তৃণমূলকে বিধেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, আসলে নির্বাচনের ফলাফলের পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝে গিয়েছে যে, তাদের আর ঘুরে দাঁড়াবার জায়গা নেই। আর তাই গুটিকয়েক নেতাকর্মীদের টিকিয়ে রাখতেই তৃণমূলের যুবরাজ এই ধরনের মন্তব্য করছেন। আসলে এই সবই আষাঢ়ে গল্পের শামিল।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, কি হবে তা ভবিষ্যৎ বলবে‌। তবে বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতির যা অবস্থা তাতে তৃণমূল অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে গেলে এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কিভাবে লড়াই করেন, সেদিকেই তাকিয়ে অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!