এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগে বাংলা শিখে আসুন, তারপর বাংলা জয়ের কথা ভাববেন – বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ অভিষেক ব্যানার্জীর

আগে বাংলা শিখে আসুন, তারপর বাংলা জয়ের কথা ভাববেন – বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ অভিষেক ব্যানার্জীর

বিজেপি বাংলাকে চাইলেও বাংলা কি আদৌ বিজেপিকে চায় – এই প্রশ্ন তুলে মাঝেমধ্যেই বিজেপির হিন্দিভাষী নেতাদের উদ্দেশ্যে বাংলা না জানা নিয়ে কটাক্ষ শানিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা। এবার ব্রিগেডের সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় ফের সেই বিজেপি নেতাদের বাংলা না জানা প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, গতকাল হুগলির সুগন্ধায় আগামী 19 শে জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রত্না দে নাগ সহ অন্যান্য বিধায়ক এবং নেতাকর্মীরা।

আর এই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নেতাদের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাঁচ রাজ্যে হেরে যাওয়ার পর অনেকে দিল্লীতে বসে বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আপনারা তো বাংলা লিখতে, পড়তে বা বলতে জানেন না। আগে বাংলা শিখুন। তারপর মানুষকে বুঝিয়ে বাংলা জয়ের কথা ভাববেন।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলার মানুষের মূল সম্পদ মাতৃভাষাকেই তুলে ধরে তা বিজেপির হিন্দিভাষী নেতারা না জানায় এদিন সেই প্রসঙ্গেই গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে বিজেপি বিরোধীতার পালে হাওয়া লাগানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূলের যুবরাজ। এমনকী সম্প্রতি বাংলার বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বাংলা দখলের ট্যুইটের বিরুদ্ধেও আক্রমণ করেন তিনি। বিগত পাঁচ বছরে কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সরকার যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পালন করতে পারিনি এদিন সেই সমস্ত কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও আক্রমণের সুর চড়ান তৃণমূলের যুবরাজ।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত সাড়ে চার বছরে প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত প্রচারে 5 হাজার 278 কোটি, বিদেশ ভ্রমণে দুই হাজার কোটি এবং গুজরাটে একটি মূর্তি বসাতে 3 হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কৃষকবান্ধব স্কিম চালু করেছেন 10 হাজার কোটি টাকা দিয়ে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদির তফাতটা গোটা দেশ জানে। সে জন্যই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্ত করছেন।”

পাশাপাশি বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়ে যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন বলেন, “অর্থের বিনিময়ে অন্য রাজ্য মাথা নত করলেও বাংলা করবে না। তৃণমূল কর্মীদের যত আঘাত করা হবে আন্দোলন তত বাড়বে।” এদিকে সম্প্রতি মুকুল রায়ের পর তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এমনকি শুধু সৌমিত্র বাবুই নয়, লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের আরও অনেক নেতা, বিধায়ক, সাংসদেরা বিজেপিতে যোগদান করবে বলে দাবি করছে রাজ্য বিজেপির নেতারা।

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে এই ব্যাপারে মুখ খুলে সেই দল থেকে চলে যাওয়া নেতাদের “আবর্জনা” বলে মন্তব্য করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কয়েকটা আবর্জনা কুড়িয়ে নিয়ে বিজেপি ভাবছে যে তারা বড় কিছু পেয়ে যাবে। সমস্ত চোরেরা আজকে বিজেপিতে গিয়ে আস্তানা গেড়েছে। কিন্তু এতে কোনো কিছুই হবে না। লোকসভা নির্বাচনের পরেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে যখন বাংলা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতারা। ঠিক তখনই সেই বিজেপিকে বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি না জানা নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি বিরোধীতার পালে হাওয়া লাগানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূলের এই যুবরাজ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!