প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 125 তম নেতাজির জন্মজয়ন্তী বর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আর সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে উঠতে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই দর্শকাসন থেকে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান উঠতে থাকে।

আর এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। নিজের বক্তব্য বয়কট করে প্রতিবাদ জানান পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। আর এবার গতকাল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ঘটা সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুললেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে “জয় শ্রীরাম” বলা নিয়ে তীব্র আপত্তি শোনা গেল তার গলায়। সূত্রের খবর, আজ দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর বক্তব্যের শুরুতেই গতকালের ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ঘটনার কথা তুলে ধরেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল আমাদের দেশ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি বক্তব্য রাখার সময় উদ্যত হলে কলুষিত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মানুষের দ্বারা নির্বাচিত। আড়াই কোটি মানুষ ভোট দিয়ে সমর্থন করেছেন। জয় শ্রীরামে আমাদের কোনো আপত্তি নেই‌। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধির উচিত মানবধর্ম পালন করা। আগামী নির্বাচনে এদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।”

স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ জানানোর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনিতেই এই ঘটনা নিয়ে গর্জে উঠেছিলেন তৃণমূলের সৈনিকরা। আর এবার কুলতলির জনসভা থেকে গতকালের সেই ঘটনার কথা তুলে ধরে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন তৃণমূলের অলিখিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তৃণমূলের কাছে এটা আগামী দিনে বিজেপি বিরোধীতার অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানে যেভাবে বক্তব্য রাখতে উঠে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি এবং পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল, তাতে নিজের বক্তব্য বয়কট করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার তার সুরেই সুর মিলিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ভাষায় গর্জে উঠলেন। যা গেরুয়া শিবিরকে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।