এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অভিষেক ঘনিষ্ঠ যুবনেতার ক্ষমতা বৃদ্ধি হতেই জেলায় তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কায় তৃণমূল কর্মীরা

অভিষেক ঘনিষ্ঠ যুবনেতার ক্ষমতা বৃদ্ধি হতেই জেলায় তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কায় তৃণমূল কর্মীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –অধীর রঞ্জন চৌধুরীর শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদে ঘাসফুল ফোটানোর জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে কাজে লাগিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব নিয়ে শুভেন্দু বাবু একের পর এক কংগ্রেস নেতাদের নিজেদের দিকে আনার পাশাপাশি ভোট রাজনীতিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী কে অনেকটাই কোণঠাসা করে দেন তবে শুভেন্দু অধিকারী দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সৌমিক হোসেন মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন।

এমনিতেই কর্মী মহলে শোনা যায় যে, শুভেন্দু অধিকারী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কে দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হবে, তা নিয়ে তীব্র দ্বৈরথ চলছে। এমত পরিস্থিতিতে দলের সব সময় সুনজরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর মত দক্ষ সংগঠককে কেন কোনো দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে নানা সময় প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে।

তবে সাম্প্রতিক তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে জেলা পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে সমস্ত জেলার দায়িত্বে ছিলেন, সেই সমস্ত জেলার দায়িত্বে থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র কোর কমিটির সদস্য করে তার গুরুত্ব অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হল বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক থেকে সরে যাওয়ার পরেই সেই জেলায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ নেতা সৌমিক হোসেনকে। এদিকে সৌমিক হোসেন দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূলের কর্মী মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডোমকল পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সৌমিক হোসেনকে সরানোর পরেই জেলা রাজনীতিতে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এবার তাকে জেলার কো-অর্ডিনেটর করার পর সৌমিকবাবু এবং তার অনুগামীরা অনেকটাই চাঙ্গা হলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলেছেন, এতদিন শুভেন্দু অধিকারী নিজের মত করে মুর্শিদাবাদ জেলা সাজিয়েছিলেন। ফলে তিনি নিজের একটি টিম গঠন করে নিয়েছিলেন। যে টিমের বাইরে ছিলেন সৌমিক হোসেন। কিন্তু এবার সৌমিকবাবু দায়িত্ব পাওয়ায় শুভেন্দুবাবুর অনুগামীদের অনেকটাই অসুবিধে হতে পারে। আর যদি এর ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মুর্শিদাবাদ জেলায় শুরু হয়, তাহলে তৃণমূলের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করা দুঃসাধ্য হয়ে যাবে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে সৌমিক হোসেন বলেন, “আমি পুরনো কর্মীদের পাশে রয়েছি‌। তবে দলে থেকে যারা বেইমানি করবে, তাদের ছেড়ে কথা বলব না। আমি যে বিধানসভার দায়িত্ব পেয়েছি, সেখানে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় জানি। দলের কর্মীদের সম্মান রক্ষার জন্য সব জায়গায় যাব।”

তবে মুখে সৌমিকবাবু একথা বললেও, শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে এতদিন জেলায় যারা কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যদি তিনি প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাব পোষণ করতে শুরু করেন, তাহলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ব্যাপক পরিমাণে বাড়তে শুরু করবে মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাই এখন বিরোধী গোষ্ঠীকে কাবু করা প্রধান লক্ষ্য হয় সৌমিক হোসেনের, নাকি দলকে জেতানোই তার মূল টার্গেট হয়, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!