অভিষেক নয়, এখন তৃণমূলের সভাপতি অন্যজন, বড়সড় দাবি হেভিওয়েট নেতার রাজ্য July 14, 2019 সমালোচকদের একাংশ বলেন, মুকুল রায়ের তৃণমূল ছাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান। আর সেজন্যই তিনি তৃণমূল থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানে তার প্রাক্তন দলকে ভাঙতে শুরু করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে বাংলায় দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। 18 টি আসন নিজেদের দখলে রাখা বিজেপি 22 টি আসন পাওয়ার জন্য তৃনমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল যে, মুকুল রায়ের খাসতালুক উত্তর 24 পরগনার বিভিন্ন পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা বিজেপিতে নাম লিখিয়ে সেই পৌরসভার রং গেরুয়া করে দিয়েছিলেন। আর দলের এই ভাঙ্গন রুখতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের উপদেষ্টা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা রেখেছেন ভোটগুরু বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরের উপর। এদিকে প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পরই যেমন তৃনমূলে একাধিক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই কাঁচরাপাড়া, হালিশহরের যে সমস্ত তৃণমূল কাউন্সিলররা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তারা ফের তৃণমূলে এসেছেন। যাতে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত হয়েছে ঘাসফুল শিবির। গতকালই কাঁচরাপাড়া পৌরসভার 9 জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলে সেই যোগদান পর্বে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “নিজের পাড়ার 10 জন কাউন্সিলরকে যিনি ধরে রাখতে পারেন না, তিনি আবার 107 জন বিধায়কের দলবদলের কথা বলছেন। নৈতিকতা থাকলে অন্য দলের বিধায়কের সঙ্গে উনি কথাই বলতেন না। আসলে যাকে চাণক্য বলা হত, তিনি এখন মেড ইন চায়না।” একথা বুঝতে বাকি নেই কারোরই যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে এটা মুকুল রায়ের উদ্দেশ্যেই বলেছেন। কিন্তু রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ কাউকে আক্রমণ করবে, আর অপরপক্ষ তা মুখ বুজে সহ্য করবে তা কি হয়! আর তাইতো তৃণমূলের যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল এই ব্যাপারে মুকুল রায়কে আক্রমণ করলে আজ সেই ব্যাপারে পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, আজ সকালে হাওড়া জেলা বিজেপির শিক্ষকদের তরফে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মুকুল রায়। যেখানে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে অনেকে বিজেপিতে যোগদান করেন। সেইখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে ভোটগুরু বলে পরিচিত তৃণমূলের উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোরকে টেনে আনেন বঙ্গ বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। তিনি বলেন, “আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করুন যে প্রশান্ত কিশোর কে! উনি কোথা থেকে জন্মেছেন! এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির নাম কি প্রশান্ত কিশোর! এটা আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করুন।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একসময় তৃণমূলের অঘোষিত নাম্বার টু বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃনমূল দলের প্রায় আদ্যপ্রান্ত জানেন। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হলে তারপর দলের কাউকে সামনে না এনে যেভাবে প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন সেই কথা তুলে ধরে তৃণমূল দলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউ নেই, প্রশান্ত কিশোরই কি সভাপতি! এই ব্যাপারে তৃণমূলের যুবরাজের দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য। যা কিছুটা হলেও রাজ্যের শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আপনার মতামত জানান -