প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে তরজা যেন আরও দ্বিগুনভাবে বাড়তে শুরু করেছে। চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জের মন্তব্যে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন। যা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। “তোলাবাজ ভাইপো” বলে না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দুবাবু বলে দাবি একাংশের।

আর এই পরিস্থিতিতে ডায়মন্ডহারবারের জনসভা থেকে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, এক বাপের ব্যাটা হলে যেন ডায়মন্ডহারবার দখল করে দেখায়। স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই চ্যালেঞ্জ করছেন, ঠিক তখনই তার জবাব দিলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে এখন ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলা জুড়ে।

বস্তুত, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাকি 41 টা বাদ দিন। ক্ষমতা থাকলে শুধু আমার এলাকা দখল করে দেখাক।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করার সাথে সাথেই দাঁতনের সভা থেকে তার জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, “ডায়মন্ডহারবারে আমি সভা করব। তৃণমূলকে একেবারে উপরে ফেলতে হবে।”

অর্থাৎ তিনি যে চ্যালেঞ্জের পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে নিলেন, তা বলাই যায়। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই গ্রহণ করা চ্যালেঞ্জ শুধু যে মুখে নয়, এবার কাজেও বাস্তবায়িত হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত তার অনুগামীরা। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মনোমালিন্য হওয়ার কারণেই দলত্যাগ করেছেন‌।

আর তৃণমূল ত্যাগ করার পর প্রথম সভা থেকেই তুলে আক্রমণ করেছেন তিনি। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা আজকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তার গড়ে সভা করার কথা জানিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু। যার ফলে এখন তৃণমূল সঙ্গে বিজেপির লড়াই অপেক্ষা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই চমকপ্রদ হয়ে উঠবে বাংলার রাজনৈতিক মহলে বলেই মনে করছেন সকলে।

এদিন সুনীল মন্ডলের গাড়িতে হামলা প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গতকাল আমরা হেস্টিংসে গিয়েছিলাম। সেখানে জেহাদিদের মত একদল সুনীল মন্ডলের গাড়িতে ভাঙচুর করল। আমি ঢোকার সময় কিছু করার সাহস পায়নি। বের হওয়ার সময় পেছন থেকে আওয়াজ করল। আমাকে ওসব করে লাভ নেই।”

অর্থাৎ তাকে ধমক চমক দেখিয়ে যে কোনো লাভ হবে না, তা ওইদিনের মন্তব্য থেকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনো পক্ষই বিন্দুমাত্র জমি ছাড়তে নারাজ। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে সামনে রেখে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তার গড়ে আসার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রীতিমত তা করে দেখানোর হুংকার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে কার্যত জমে উঠল রাজ্য রাজনীতি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।