এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন শুভেন্দুর! বাড়ছে উত্তাপ!

অভিষেকের রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন শুভেন্দুর! বাড়ছে উত্তাপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তার মুখ থেকে যে এই ধরনের কথা শোনা যাবে, তা আশা করেছিলেন সকলেই। তৃণমূল নেত্রী তথা বিগত বাম আমলে বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন লড়াই আন্দোলনে পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। সিঙ্গুর থেকে শুরু করে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে বাম সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। দলের দুর্দিনের নেতা ছিলেন তিনি। দল ক্ষমতায় আসার পর যুব সংগঠনের দায়িত্ব সামলালেও 2011 সালের 21 শে জুলাই “তৃণমূল যুবা” নামে একটা নতুন সংগঠন গঠন করে তার দায়িত্ব দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আর তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়, এবার তৃণমূলের মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর ধীরে ধীরে জায়গা করে নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এতদিন রাজনীতি না করা অভিষেকবাবুকে সুকৌশলে নিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চাইছেন বলে অভিযোগ করে একাংশ। দলের অনেকেই দলে থেকে প্রকাশ্যে সেই কথা বলতে পারছিলেন না যতদিন যেতে শুরু করে ততই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক শীর্ষে পৌঁছুতে শুরু করেন।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে দলের দুর্দিনে যারা লড়াই করেছেন তাদেরকে বাদ দিয়ে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বাবুকে জায়গা করে দিচ্ছেন তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান হয়ে পড়ে। আর এই পরিস্থিতিতে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের শীর্ষ স্থানে জায়গা হওয়া নিয়েই যে অনেকের আপত্তি এবং তার ফলে যে অনেকে দলত্যাগ করতে শুরু করেছেন, তা কার্যত স্পষ্ট বিশেষজ্ঞদের কাছে।

বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারীর সাথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বনিবনা না হওয়ার কারণেই যে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে নাম লেখানোর পর তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করা শুভেন্দু অধিকারী এবার সরাসরি সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন।

জানা যায়, বুধবার নোয়াপাড়ার জনসভায় উপস্থিত হন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তাকে “তোলাবাজ ভাইপো” বলে আক্রমণ করেন এই বিজেপি নেতা। আর তারপরই সেই তৃণমূলের অলিখিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় তাকে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা তোলাবাজ ভাইপোকে নেতা মানব কেন? কোন দিন ছাত্র রাজনীতি করেছেন? কোন দিন যুব রাজনীতি করেছেন? 2011 সালে ল্যান্ড করিয়ে তাকে সোনার চামচ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই কথা বলে শুধু যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপাকে ফেললেন, তা নয়। তিনি এই কথার মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতাদের মনে বিদ্রোহী মনোভাবকে আরও বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। আগামীদিনে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকে স্মরণে রেখে তৃণমূলের অনেকেই যে দলের অন্দরে এই ধরনের প্রশ্ন তুলতে শুরু করবেন, সেই ব্যাপারে দ্বিধা নেই বিশেষজ্ঞদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের অনেক বুথের কর্মীরাও এখন আড়ালে-আবডালে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করার পর অনেকেই চুপিসারে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, খুব কি ক্ষতি হত, যদি শুভেন্দুবাবুকে প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হত? দল ক্ষমতায় আসার আগে সেভাবে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলতেই চাইতেন, তাহলে কি সেই উত্থান অন্যভাবে সম্ভব হত না?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে যোগ্যতম ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারীকে মর্যাদা না দিয়ে যেভাবে তার মাথার ওপর অনুজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন বসিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সমস্যা। তাই শুভেন্দু অধিকারী জার্সি পরিবর্তন করার পর বিজেপিতে নাম লিখিয়ে এখন সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, তা যে তৃণমূলের অনেক কর্মী সমর্থকদের মনের কথা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, এ তো সবে শুরু হয়েছে। যত নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসবে, ততই এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংকট আরও বাড়তে শুরু করবে। দলে থেকে অনেকেই হয়ত বা প্রকাশ্যে এধরনের মন্তব্য করতে পারছেন না। কিন্তু যারা যারা দলত্যাগ করছেন, তারা বাইরে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে “পিসি-ভাইপো কোম্পানি” বলে কটাক্ষ করেছেন।

সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দল পরিচালনা করেন এবং বাকি তাদের যে কারো কোনো মূল্য নেই, তা বারে বারে তুলে ধরছেন দলত্যাগী নেতারা। স্বাভাবিক ভাবেই এমত পরিস্থিতিতে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতাদের বিদ্রোহ বাড়িয়ে দিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে কার্যত বিপাকে ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!