এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > অভিষেক গড়ে দাঁড়িয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

অভিষেক গড়ে দাঁড়িয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ নতুন কিছু না, দীর্ঘদিন যাবত এই বিরোধ দেখা যাচ্ছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে প্রশাসন ও শাসক দলের তরফ থেকে বিরোধী দলের এজেন্ট বলেও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যদিও তাতে রাজ্যপাল যে বিশেষ কোন কান দেননি তা তাঁর বর্তমান কার্যকলাপ থেকেই স্পষ্ট। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক সেরে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আর এবার বর্তমান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঞ্চলে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে একহাত নিলেন রাজ্যপাল। বুধবার ডায়মন্ড হারবারের সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

এবং সেখানেই তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা তুলে ধরেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই ডায়মন্ড হারবার এলাকা যে অত্যন্ত বিপজ্জনক তা বোঝা গেছে। এদিন পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি আধিকারিকদের অরাজনৈতিকভাবে থাকার আহ্বান জানান তিনি। একাধারে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে। তিনি রাজ্যের ওসি, আইসিদের উল্লেখ করে নির্দেশ দেন মানবাধিকার লংঘন হয় পুলিশ যেন এমন কোনো কাজ না করে। শাসকদলের মর্জিমাফিক রাজনীতি যে এই রাজ্যে চলবে না সে কথাও বলেন তিনি।

পাশাপাশি শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে রিগিং প্রসঙ্গ নিয়েও মুখ খোলেন এদিন রাজ্যপাল। বিরোধীরা বহুদিন ধরেই দাবি করে আসছে রাজ্যের ভোটে রিগিং করে শাসক দল জেতে। সেই দাবিকেই মান্যতা দিলেন এদিন রাজ্যপাল। রিগিং প্রসঙ্গ টেনে এনে রাজ্যপাল এদিন প্রশাসনকে উল্লেখ করে রিগিং বন্ধ করার কথা বলেন। এবং যদি পুলিশ প্রশাসন কথা না শোনে তাহলে আগামী দিনে পুলিশ প্রশাসনের জন্য যে খুব একটা ভালো কিছু হবে না সেই হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এদিন রাজ্যপাল রীতিমতো হুংকার দিয়ে বলেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যদি সেন্ট্রাল ফোর্স দূরে থাকার কথা কেউ ভাবে, তাহলে খুব ভুল করবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তিনি এবারের ভোট স্বচ্ছ এবং আতঙ্ক মুক্ত করার কথা বলেন। এদিন রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে। নিয়মিত এই একই অভিযোগ করে যাচ্ছে বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী শিবির এবং তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা ও কর্মীরা। অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন ‘লোকাল নেতা’ বলে অভিহিত করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যদিও মুহূর্তের মধ্যেই তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পারেন এবং ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ বলেন ‘‘দেশের যত বড় নেতা হোক না কেন, তিনি নিজের এলাকায় লোকাল।” সম্প্রতি ডায়মন্ডহারবারেই সভা করতে আসার পথে শিরাকোল এলাকায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়।

এই হামলায় বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকায় নাড্ডা বেঁচে গেলেও মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই ডায়মন্ড হারবার এলাকাটি এই মুহূর্তে অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে এদিন ডায়মন্ডহারবার এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসন বা শাসকদল রাজ্যপালের কথায় কোনোরকম প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!