এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > অভিষেককে ‘প্রোমোট’ করার জন্যই মমতা শুভেন্দুকে ‘ছেটে’ ফেলছেন – বিস্ফোরক হেভিওয়েট নেতা!

অভিষেককে ‘প্রোমোট’ করার জন্যই মমতা শুভেন্দুকে ‘ছেটে’ ফেলছেন – বিস্ফোরক হেভিওয়েট নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। অনেকেই বলছেন, দলে গুরুত্ব না পাওয়ার কারণে ক্রমশ নিজের মত করে পথ চলে জল্পনা বাড়িয়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বেই একসময় নন্দীগ্রামে ঘাসফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর ধীরে ধীরে রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছে যান শুভেন্দুবাবু। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর যেখানে-সেখানে দল সংগঠন নিয়ে অসুবিধার মুখে পড়েছে, সেখানে মুশকিল আসান হয়ে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে দলের শীর্ষস্তরে সেভাবে কোনো জায়গা দেওয়া হয়নি বলে তার অনুগামীরা ক্ষুব্ধ।

সেদিক থেকে তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, আড়ালে-আবডালে অনেক কর্মীরা বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী দলকে সব কিছু দিয়ে গেলেও তার জায়গায় অন্য একজন নেতাকে শীর্ষস্তরে বসানো হয়েছে। যার ফলে শুভেন্দুবাবু অনেকটাই ক্ষুব্ধ। তাই দীর্ঘদিন ধরে এসব সহ্য করার পর এখন তিনি দূরত্ব অবলম্বন করে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে জল্পনার মাঝেই “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রমোট করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে ছেটে ফেলতে চাইছেন” বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

সূত্রের খবর, এদিন তৃনমূলে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের রাজনৈতিকভাবে শক্তি বৃদ্ধির পেছনে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। নন্দীগ্রামে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী তথা অধিকারী পরিবার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেখানে দেখা যায়নি। কিন্তু এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রমোট করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দু অধিকারীকে ছেঁটে ফেলতে চাইছেন। আমাকে হারানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে মুর্শিদাবাদে নিয়োগ করেছিলেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় এসে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারা কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিলেন। আজ সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন যে, দিদি আসলে কি!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থ্যাৎ শুভেন্দু অধিকারী এক সময় মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক থেকে সেখানে ঘাসফুল ফোটানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে এখন সেই শুভেন্দু অধিকারী দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে তৃণমূলের বিদ্রোহকে ক্রমশ বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন তৃনমূলে আরও বিদ্রোহ হবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “বিদ্রোহ তো হবেই। আর সেই বিদ্রোহের শিকর বাকর বহুদূর যাবে। দিদির পার্টি আগামী দিনে এই বাংলায় থাকবে না।” স্বভাবতই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্যে এখন নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাতে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রমোট করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ছেটে ফেলা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন। আর অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ে গেল বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!