এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেক-পিকে কি পারবে? নাকি দিলীপ মুকুলই ২০২১ এ করবে বাজিমাত? জল গড়াচ্ছে যে দিকে!

অভিষেক-পিকে কি পারবে? নাকি দিলীপ মুকুলই ২০২১ এ করবে বাজিমাত? জল গড়াচ্ছে যে দিকে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কথা বলেন। কিন্তু এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মুকুল রায় শেষ সিদ্ধান্ত নিলেও, দিনকে দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসে। মুকুল রায়কে সরিয়ে ধীরে ধীরে দলের অঘোষিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হয়ে ওঠেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর পরেই ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকা মুকুল রায় নিয়ে নেন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

আর বিজেপিতে যোগদান করে মুকুল রায় দাবি করেন, তৃণমূল লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে। এদিকে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর এই তৃণমূলে ভাঙ্গন ঘটতে দেখা যায়। একাধিক হেভিওয়েট বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদ সেই মুকুল রায়ের হাত ধরে যোগদান করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। পরবর্তীতে গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পায় ভারতীয় জনতা পার্টি।

আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রননীতিকার করেন বিখ্যাত রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকে। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলেও, তাকে নিয়ে দলের অনেক বিধায়ক আপত্তি পোষণ করতে শুরু করেছেন। যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়েছে শাসক দল। আর এই পরিস্থিতিতে সেই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে যখন তৃণমূলে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তখন বিজেপি তার ফায়দা তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে তৃণমূলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জোরালো জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেলেও, দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করা শুভেন্দু অধিকারী গুরুত্ব পাচ্ছে না। যার ফলে তিনি এখন অরাজনৈতিক সমাবেশের মধ্যে দিয়ে দলকে বার্তা দিতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলছেনড় শুভেন্দু অধিকারী খুব দ্রুত বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার মত কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যে তা ব্যাপক চাপের কারণ হতে পারে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আর শুভেন্দু অধিকারীর এইভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব স্থাপনের পেছনে প্রধান কারণ যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সমালোচক মহল। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনের চেষ্টা না করে প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই গোটা রাজ্য জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী এবং জনপ্রতিনিধি রয়েছে। তাই শুভেন্দু বাবু যদি দল ছাড়ার মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তারাও তা করতে পারেন। তাই এই সমস্ত সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে এখন চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। যার সুবিধা নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই নিশ্চিত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা বর্তমানে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় তৃণমূলের ঘর ভেঙে দিতে পারেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে তিনি এরকম অনেক চমক দিয়েছেন। তাই বিধানসভা নির্বাচন যখন বিজেপির কাছে প্রধান টার্গেট এবং সেই বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব অনেকটাই মুকুল রায়ের কাঁধে রয়েছে, তাই মুকুলবাবু শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের বিদ্রোহীদের নিজেদের দিকে টেনে নিতে পারেন।

এক্ষেত্রে কোচবিহারের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত, অনেকগুলো নাম নিয়ে বর্তমানে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর মুকুল রায় যদি নিজের পুরনো দল ভাঙতে শুরু করেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই চাপে পড়ে যাবে। কেননা মুকুলবাবু খুব ভাল করেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহল সম্পর্কে অবহিত। তাই প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শত চেষ্টা করলেও মুকুল রায়ের দল ভাঙ্গানোর খেলা আটকাতে পারবেন না বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই অমিত শাহ রাজ্যে এসে বিজেপিকে টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন যে, আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে 200 আসনের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছে, তখন এই সমস্ত বিদ্রোহীদের মন জয় করতে মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষের টিম অনেকটাই সফল হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!