যুবরাজকে ফের বড়সড় ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলের যুবতে ভাঙ্গন ধারালো সৌমিত্র, যুবশক্তির আনন্দে পড়লো কাঁটা? জল্পনা তুঙ্গে! কলকাতা রাজ্য হাওড়া-হুগলি June 13, 2020 তৃণমূলের যুবরাজকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। জানা যাচ্ছে আজ হাওড়ার ৩৩ ও ৩৭ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রায় ১০০ র বেশি তৃণমূল যুব নেতা কর্মী সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনের আগেই ‘পিসি-ভাইপোর’ উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগের পাশাপাশি একাধিক মামলা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। আদালতের রায়ে তিনি নির্বাচনের প্রচারেও যেতে পারেন নি ! কিন্তু, সৌমিত্র খাঁ নিজের ক্যারিশমার জোরে সেই লড়াই হাসতে হাসতে জেতেন! এরপর তরুণ তুর্কির হাতেই দেওয়া হয়েছে আরও বড় ক্ষমতা। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে নতুন যে রাজ্য কমিটি ঘোষিত হয়েছে – সেখানে সৌমিত্র খাঁকে দেওয়া হয়েছে যুব সভাপতির পদ। আর নতুন দায়িত্ব পেতেই, আরও তীব্র বেগে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। রোজই প্রায় ঘর ভাঙছেন শাসকদলের, নিচ্ছেন একের পর এক কর্মসূচী, দিচ্ছেন একের পর এক হুঙ্কার। আর আজ ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙালেন তিনি জানা যাচ্ছে আজ হাওড়া প্রায় ১০০ র বেশি তৃণমূল যুবনেতা কর্মী সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সৌমিত্র খাঁ। যারা যোগ দিয়েছেন তারা হলেন, টিএমসি যুব নেতা রানা ব্যানার্জি, সৌরভ শেঠ ও সৌরভ মুখোপাধ্যায়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির শক্তি বাড়লো বলে মত রাজনৈতিকমহলের। এদিকে সৌমিত্রবাবু দায়িত্ব নেওয়ার পর এই অল্প কয়েক দিনেই বিজেপির যুব শাখা কার্যত ঝড় তুলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে বলে অভিমত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। সৌমিত্র খাঁ বিজেপির যুব সভাপতি হিসাবে ঝড় তোলার পর হঠাৎ করেই তৃণমূলের ‘যুবরাজ’ ‘বাংলার যুবশক্তি’ নামে এক নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃণমূল সূত্রের খবর, এই কর্মসূচীকে নাকি অরাজনৈতিক রাখা হবে! কিন্তু, যে কর্মসূচীর নিয়ন্ত্রণ থাকবে যুব তৃণমূলের হাতে, যাকে ‘মনিটর’ করবে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর, যে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করানো হবে রাজ্যের সোয়া এক লক্ষ যুবক-যুবতীকে, যে কর্মসূচীতে সরাসরি বৈঠক করে নির্দেশ দেবেন তৃণমূলের অঘোষিত সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় – তাকে ‘অরাজনৈতিক কর্মসূচী’ বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে তৃণমূলের দাবি প্রথম দিনেই বাংলার যুবশক্তি রাজ্যের প্রায় 42 লক্ষ মানুষকে কাছে পৌঁছে গেছে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনেকটাই সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি করছে বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে একটি টুইট করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “331 ব্লক, 230 টি শহর জুড়ে মানুষ রেজিস্ট্রি করিয়েছেন। বাংলার যুবশক্তি প্রথম 24 ঘন্টায় এত মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে আপ্লুত। বাংলার যুবশক্তি যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, তার জন্য তাদের অনেক ধন্যবাদ।” কিন্তু এরপরে সৌমিত্রর তৃণমূলের ঘর ভাগ যে সেই আনন্দে একটু হলেও বিষাদের সুর নেসলেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই যোগদান নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।আর এইসব নিয়েই রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন – বাংলার যুবসমাজের হৃদয় জয় করে নিজের ঘর ভাঙা কি আটকাতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? নাকি এবারেও বাজিমাত করবেন ‘বিষ্ণুপুরের বেতাজ বাদশা’ সৌমিত্র খাঁ? উত্তরের অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -