এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের হাইভোল্টেজ বৈঠকে গরহাজির দুই হেভিওয়েট নেত্রী ও এক প্রভাবশালী নেতা! জল্পনা চরমে

অভিষেকের হাইভোল্টেজ বৈঠকে গরহাজির দুই হেভিওয়েট নেত্রী ও এক প্রভাবশালী নেতা! জল্পনা চরমে


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই তার হাতে যে সমস্ত জেলা ছিল, সেই জেলাগুলোর দায়িত্ব নিতে শুরু করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রথমেই শুভেন্দু অধিকারী পর্যবেক্ষক থাকা মালদহ জেলার প্রতিটি নেতৃত্বকে কলকাতায় ডেকে পাঠান যুব তৃনমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে মালদহ জেলা তৃণমূলের আটজনের কোর কমিটির সব সদস্যকে ডাকা হলেও, বৈঠকে এলেন মোট পাঁচজন সদস্য।

যেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রকে। কেন স্বয়ং মৌসম বেনজির নূর দলের শীর্ষ নেতৃত্বে ডাকা এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেও, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। পাশাপাশি সাবিত্রী মিত্রের মত দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেত্রী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ডাক সত্ত্বেও, কেন এই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না, সেই ব্যাপারেও প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। দুই হেভিওয়েট নেত্রীর এইভাবে বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে এখন তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

অনেকে বলছেন, বর্তমানে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর একসময় কংগ্রেস থেকে এই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। তার পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারী পর্যবেক্ষক থাকার সুবাদে সেই জেলার সমস্ত নির্দেশ শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যদিয়েই পালন করতেন মৌসমদেবী। কিন্তু বর্তমানে সেই শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করবেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

ইতিমধ্যেই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর তারপরেই তৃণমূলের অন্দরমহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন বা সেই পথে পা বাড়ান, তাহলে তিনি যে সমস্ত জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেখানকার অনেকেই তৃণমূল ত্যাগ করতে শুরু করবেন। আর এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ জেলার কোর কমিটির সদস্যদের বৈঠকে ডাকলেও, সেখানে জেলা সভানেত্রীর অনুপস্থিতি তৃণমূলের চিন্তাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিল।

অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন, তা দেখে মৌসম বেনজির নূর দলের বৈঠকে এড়িয়ে গেলেন? তাহলে কি তিনি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন? একাংশের মতে, এই মৌসম বেনজির নূর সভাপতি হওয়ার পরেও মালদহ জেলার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমেনি। উল্টে দিনকে দিন তা বাড়তে দেখা গিয়েছিল। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনেও মালদহে ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। পরাজিত হতে হয়েছিল মৌসম বেনজির নূরকেও।

অর্থাৎ সভাপতি হিসেবে মৌসম নূরের পারফরম্যান্স যে খুব একটা ভালো, তা বলা যাবে না। আর শুভেন্দু অধিকারী যখন দলের থেকে কার্যত দূরত্ব বাড়াচ্ছেন, তখন মালদহ জেলার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে জেলার সমস্ত কোর কমিটির সদস্যদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই বৈঠকে মৌসম বেনজির নূর এবং সাবিত্রী মিত্রের অনুপস্থিতি শাসকদলের শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে চিন্তাকে আরও প্রকট করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন তারা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকা এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন! জানা যায়, মৌসম বেনজির নূর জ্বরে আক্রান্ত। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, “মৌসম জ্বরে আক্রান্ত। রাতে শরীর খারাপ হয়। তাই তিনি যেতে পারেননি।” তবে মৌসম বেনজির নূর যে জ্বরে আক্রান্ত, তা তার জানা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র শুভময় বসু।

এদিকে একইভাবে সাবিত্রী মিত্র অসুস্থতার কারণে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে খবর। শুধু তাই নয়, মানব বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক তৃণমূল নেতা কোর কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও এই বৈঠকে কার্যত গরহাজির ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই মালদহ জেলার কোর কমিটির বৈঠক করে সেখানকার সংগঠনকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ তৃণমূল নেতৃত্ব নিলেও, জেলা সভানেত্রী, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা অনুপস্থিত থাকায় তৃণমূলের চিন্তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তাহলে কি মৌসম বেনজির নূর সহ আরও দুই নেত্রীর এই বৈঠকে অনুপস্থিতি তৃণমূলের আগামী দিনের চিন্তাকে আরও বাড়িয়ে দিল! তাহলে কি এই বৈঠকে উপস্থিত থেকে কার্যত এই সমস্ত নেতা নেত্রীরা বুঝিয়ে দিলেন যে, তারা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আছেন! এখন তা নিয়েই ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অনুপস্থিত থাকা জেলা সভানেত্রী সহ দুই নেতা-নেত্রীর তরফ থেকে এই ব্যাপারে কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!