প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ৫ ই অক্টোবর প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। এরপর গত ৬ ই অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। তারপর ২৫ দিন কেটে গেছে। একটা সময় তিনি করোনা মুক্ত হন। আশার আলো দেখতে শুরু করেন অনেকেই। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর শুরু হয় একাধিক সমস্যা।

সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোন আশার কথা শোনাচ্ছেন না চিকিৎসকেরা। অভিনেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অপ্রিয় সত্যিটাই চিকিৎসকেরা সকলকে জানালেন। গতকাল তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত জনৈক চিকিৎসক জানালেন যে, দীর্ঘদিন হয়ে গেলো অভিনেতার আচ্ছন্ন ভাব কিছুতেই দূর হচ্ছে না, তাই তাঁকে নিয়ে খুব বেশি আশা করা হয়ত উচিত হবে না।

প্রসঙ্গত গত ৬ ই অক্টোবর করোনার কিছু উপসর্গ নিয়ে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। করোনার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত তিনি। শ্বাসকষ্টের মতো তেমন সমস্যা আছে, তেমনি তাঁর শরীরে ক্যান্সারের মতো মারণ ব্যাধির বাসা। তবে, প্লাজমা থেরাপি চলার পর, করোনা মুক্ত হন তিনি। চিকিৎসাতে সাড়াও দিতে থাকেন তিনি। আশার আলো বাড়ে চিকিৎসকদের। কিন্তু তারপর থেকেই স্নায়বিক সমস্যা, কিডনির সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ডাক্তাররা আসার কথা বলছেন না।

অভিনেতার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকেরা জানালেন যে, বর্ষীয়ান অভিনেতার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি ঘটেনি। গতকাল বিকেল পাঁচটায় বেলভিউ নার্সিংহোমের বুলেটিনে ডা. অরিন্দম কর জানালেন যে, গতকাল সকাল থেকে ইন্টারনাল ব্লিডিং বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ চলছে অভিনেতার। এরপর গতকাল রাত ৯ টার বুলেটিনে ডা. অরিন্দম কর জানালেন যে, তখনো তাঁর রক্তক্ষরণ চলছিল। কোথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা বোঝার জন্য এনজিওগ্রাফি করা হয়েছিল।

এরপর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে একটি পোস্ট সিটি এনজিও ডায়ালিসিস করা হয়েছে তাঁকে। কিভাবে তাঁর রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করা যাবে তার প্রচেষ্টায় আছেন চিকিৎসকেরা। রক্তক্ষরণের কারণে গতকাল তাঁকে ৫ ইউনিট ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা হয়েছিল।রক্তক্ষরণের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর আচ্ছন্নতার ভাব কিছুতেই কাটছে না। অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তাঁকে আগের মতই। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতির কোন লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

এ প্রসঙ্গে ডা. অরিন্দম কর জানালেন, হাসপাতালে ভর্তির পর ১৫, ২৬ দিন হয়ে গেছে, কিন্তু নিউরোলজিক্যাল সমস্যাটা কিছুতেই দূর হচ্ছে না। অভিনেতার আচ্ছন্নভাব কিছুতেই কাটছে না। এর ফলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে না বলে মনে করছেন তিনি। ৮৫ বছর বয়সে একাধিক কো-মর্বিডিটি নিয়ে লড়াই করছেন অভিনেতা। কিন্তু তাঁর স্বাস্থ নিয়ে, আশাবাদী নন চিকিৎসক। চিকিৎসকের মুখে এ কথা শুনে উদ্বেগ বেড়েছে সকলের।গত ২৫ দিন ধরে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন প্রবাদপ্রতিম এই অভিনেতা। প্রতি মুহূর্তে তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন ও প্রার্থনা করছেন তাঁর অনুরাগীরা। দ্রুত তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন এটাই সকলের কামনা।