বিধানসভায় ভরাডুবি হতেই বিজেপির অন্দরমহল খাঁখাঁ করছে! সংগঠন ধরে রাখা নিয়েই উঠে গেল প্রশ্ন বিজেপি রাজনীতি রাজ্য May 16, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – স্বপ্ন ছিল, তারা দু’শোর বেশি আসন দখল করবেন। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ করা তো দূরের কথা, লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের করার চ্যালেঞ্জ অনুযায়ী, বাস্তবেও দুই অঙ্কের সংখ্যা পার করা সম্ভব হয়নি গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। 77 টি আসনে জয়লাভ করে রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যদিকে দু’শোর বেশি আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর আশ্চর্যজনকভাবে নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পরেই যে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে একসময় নেতাদের মুহুর্মুহু যাতায়াত এবং কর্মী-সমর্থকদের ভিড় লেগে থাকত, সেখানে এখন শুধুই শূন্যতা। নেতাদের সঙ্গে দেখা করবার জন্য কর্মী-সমর্থকদের দেখা পাওয়া তো দূরের কথা, ঠিকমত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদেরই দেখা পাওয়া যাচ্ছে না দলের রাজ্য দপ্তরে। আর এটাই ব্যাপক আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। তাহলে যে সমস্ত নেতারা একসময় রাজ্য দপ্তরের অফিসে পড়ে থাকতেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর ভরাডুবিতে সেই সমস্ত নেতাদের আর দেখা না পাওয়ায় তারা কি এবার রাস্তা বদল করতে চলেছেন? জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের অলিন্দে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর সারা রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু প্রতিবাদ করবার জন্য রণকৌশল দরকার। আর সেই রণকৌশল করতে গিয়ে পার্টি অফিসে যে সমস্ত নেতা নেত্রীদের ডাকা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ নেতা-নেত্রীকেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। আর এই বিষয়ই এখন চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের। বস্তুত, শুক্রবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে রাজ্য বিজেপির 12 জন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মোটে 4 জন উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। সেদিক থেকে তৃণমূল থেকে আসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা নেত্রী এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের ভরাডুবির পর আর সেভাবে দলের কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই তারা কি এবার বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশের দাবি, ভোটের আগে যারা অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তারা শুধুমাত্র টিকিট পাওয়া এবং জয়লাভের কারণেই গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু টিকিট পেলেও বেশিরভাগ অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীরা পরাজিত হয়েছেন। তাই ভোটে ভরাডুবির পর এখন তারা নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনেক নেতা-নেত্রীকে উপস্থিত থাকতে না দেখে এমনটাই উপলব্ধি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে নানা মহলে এই ব্যাপারে আশঙ্কা তৈরি হলেও, বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। গেরুয়া শিবিরের দাবি, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না দলের অনেক নেতা নেত্রী। সেই কারণে তারা দলের সঙ্গে থাকলেও, এই বৈঠকে যোগ দেয়নি। এর সঙ্গে আশঙ্কা বা অন্য কোনো কারণ খোঁজা বৃথা। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, তলায় তলায় যে অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রী, এমনকি নিজের দলের নেতা-নেত্রীদের গতিবিধিতে বিজেপিও আতঙ্কিত, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তবে এই আশঙ্কার কালো মেঘকে কাটিয়ে রাজ্য অফিসে নেতাদের আনাগোনা নিশ্চিত করতে বিজেপি কোনো স্ট্র্যাটেজি গ্রহন করে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -