এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ঠিক হতে চলেছে আব্দুল মান্নানের ভবিষ্যৎবাণী? জানুয়ারিতেই তৃণমূলে আড়াআড়ি বিভাজন? জল্পনা চরমে

ঠিক হতে চলেছে আব্দুল মান্নানের ভবিষ্যৎবাণী? জানুয়ারিতেই তৃণমূলে আড়াআড়ি বিভাজন? জল্পনা চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। কংগ্রেসের এই নেতা কয়েক মাস আগে বলেছিলেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছিলেন যে, আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে তৃণমূল আড়াআড়ি হয়ে ভেঙে পড়বে। ১০০ জনেরও বেশি তৃণমূল বিধায়ক দল ছাড়বেন। তখন এই কংগ্রেস নেতার কথা অনেকেই বিশ্বাস করেননি। কারণ তখন তৃণমূল দলে এতটা সংখ্যায় বিক্ষুব্ধ নেতারা ছিলেন না। কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূল দলে ক্রমশ বাড়ছে বিক্ষুব্ধ নেতার সংখ্যা। তাই অনেকেই মনে করছেন যে, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এই ব্যাপারটি হয়তো আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। হয়তো এই বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হলেন আব্দুল মান্নান। দীর্ঘসময় ধরে আছেন তিনি বাংলার রাজনৈতিক মহলে। রাজনীতির আনাচে-কানাচে খবর রাখেন তিনি। কংগ্রেস ছাড়াও অন্যান্য দলের নেতা নেত্রীরাও সম্মান করেন তাঁকে। তিনি জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূলের একটা অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে যাবেন বিজেপিতে। সম্প্রতির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, আব্দুল মান্নান সাহেব যা বলেছিলেন, আগামী দিনে তা সত্যি হয়ে যাবার একটা সম্ভাবনা আছে। তৃণমূল দলের অন্দরে ক্রমশ বাড়ছে বিক্ষুব্ধদের বিদ্রোহ। দলের একের পর এক নেতা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

উত্তর থেকে দক্ষিণে চলছে এই বিদ্রোহের স্রোত। জেলায়, জেলায় শাসক দল গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। বিধায়ক মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলের বিরুদ্ধে একাধিক বার বিষেদাগার করেছেন। কোন কোন বিধায়ক সরাসরি যেমন দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, কেউ আবার নিজের অনুগামীদের কাছে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসছে, ততই ফাটল দেখা দিচ্ছে দলের নানা স্থানে। ফাটল মেরামত করতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন ভোটকুশলী পিকে। পূর্বের তৃণমূল দলের সঙ্গে এখনকার তৃণমূল দল যেন অনেকটা আলাদা হয়ে গেছে। যারা কষ্ট সহ্য করে তৃণমূল দলকে একটু একটু করে বাড়িয়ে তুলেছিলেন, এখন সেই প্রবীণ তৃণমূল নেতারা অনেকেই দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বহু, প্রবীণ তৃণমূল নেতা দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। দলের একজন দাপুটে নেতা হলেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানীতে গিয়েছে। দলে মুখ্যমন্ত্রীর পরেই জনপ্রিয়তায় আছেন তিনি। সরাসরি দলের নাম না করেও দলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন তিনি। দলকে বাদ দিয়ে একাধিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে দলের বিক্ষুদ্ব নেতারা সাহসী হয়ে, দলের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছেন। এ কারণেই দলে ক্রমশ বাড়ছে বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সংখ্যা। ক্রমশ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরা।

এদিকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট নিয়েও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর পরবর্তী নির্বাচন গুলিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তৃণমূলকে উজাড় করে ভোট দিয়েছিলেন। তবে, এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সম্প্রতি তৃণমূল দল যেভাবে চলছে সে বিষয়ে তারা সন্তুষ্ট নন। মুর্শিদাবাদ জেলাতে তৃণমূল সভাধিপতি মোশারফ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচন আসাউদ্দিন ওয়েসি পশ্চিমবঙ্গে চলেছেন প্রার্থী দিতে।

শাসক দল তৃণমূলে বিক্ষুব্ধদের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। একের পর এক বিধায়ক সরব হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জানুয়ারি মাসে যদি এভাবে ১০০ জন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী তথা বিধায়ক দল ছেড়ে চলে যান। তবে তাসের ঘরের মতো অবস্থা হবে শাসকদল তৃণমূলের। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দল একেবারেই পৌঁছে যাবে ব্যাকফুটে। অন্যদিকে, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের দাবী, তৃণমূলে মমতা ব্যানার্জি একাই একশো! এসব মনোমালিন্য সাময়িক, খুব শীঘ্রই সব কিছু ঠিক করে নেবেন তিনি আর বিধানসভা নির্বাচনে স্বমহিমায় ঝড় তুলবে ঘাসফুল শিবির। এখন সত্যিই পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় সেদিকেই নজর থাকবে আমজনতার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!