প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি নন্দীগ্রামে পায়ে আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তবে একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত লাগলেও, কেন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার খোঁজ নিলেন না, তা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

বাংলা দখলের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার রাজ্যে আসলেও, কেন সৌজন্যতা দেখালেন না তারা! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদ্ম শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রীরা। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এসে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সৌজন্যতা দেখিয়ে তার আঘাত নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বস্তুত, রবিবার খড়্গপুরে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে রোড শো করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেখানেই এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় তাকে। প্রথমে এই বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি। আর তারপরেই তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। বাংলার মানুষ সব দেখছেন। সব বুঝছেন। ইভিএমে মানুষ এর উত্তর দেবেন। কমিশন ও তদন্তকারী সংস্থা নিজের কাজ করছে। আমি এই নিয়ে কিছু বলতে চাই না।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, অমিত শাহ এই কথা বলে রাজ্য রাজনীতি থেকে কার্যত ঝড় তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লাগার পরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে ষড়যন্ত্র বলে আক্রমণ করা হয়েছে। এমনকি এই গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জেলায় জেলায় রাস্তায় নামতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের।

আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা সহানুভূতি পাওয়ার জন্য তৃণমূল নেত্রী নাটক করছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সেদিক থেকে অমিত শাহ তেমনভাবে এই ব্যাপারে কোনো অভিযোগ না করে বাংলার মানুষ সব দেখছেন তারা ইভিএমে জবাব দেবেন বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন। যা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।