প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের পরে এক বছরের মাথায় আবার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। গোটা ভারতবর্ষের পাশাপাশি বাংলাতেও আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব থাকার কারণে অনেক মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের আকাল মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করা হচ্ছে।

তবে বাংলাতে অক্সিজেনের অভাব অভিযোগ খুব একটা না উঠলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সঠিক অক্সিজেনের অভাবের কারণে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন বলে দাবি করছেন একাংশ। যার ফলে প্রথম থেকেই অক্সিজেনের অভাব মেটানোর জন্য উদ্যোগী ছিল রাজ্য সরকার। আর এবার অক্সিজেনের অভাব মেটাতে নেওয়া হল বড়সড় উদ্যোগ।

সূত্রের খবর, অক্সিজেনের অভাব মেটানোর জন্য এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে 35 টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত রাজ্যের 25 টি মেডিকেল কলেজ এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মোট 35 টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা হবে। যার মূল দায়িত্বে থাকবে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দপ্তর। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে অক্সিজেনের অভাব চরম মাত্রায় পৌঁছেছে বলে অভিযোগ উঠৈছে। তাই ভবিষ্যতে যাতে এই অভিযোগ আর না উঠে, তার জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অর্থাৎ কোনোভাবেই অক্সিজেনের অভাবের জন্য যাতে মানুষের মৃত্যু না হয়, তার জন্য 35 টি প্লান্ট বসানোর উদ্যোগ নিল রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলেই। বলা বাহুল্য, করোনাভাইরাস যখন বাড়তে শুরু করেছিল, তখন দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিতে শুরু করে।

করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি সঠিক অক্সিজেন না থাকার কারণে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। যার ফলে গোটা দেশে অক্সিজেনের আকাল তৈরি হয়। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলা সেই অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভবিষ্যতে আর অক্সিজেন নিয়ে বাংলাকে কোনো সমস্যার মুখে পড়তে হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজে এই সমস্ত অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হবে। অর্থাৎ আগে থেকেই এই অক্সিজেন প্লান্ট মজুদ করে রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার। একাংশ বলছেন, পার্শ্ববর্তী রাজ্য দিল্লি থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশে যখন অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছিল, তখন কেন্দ্রের কাছে সেই সমস্ত রাজ্যের পক্ষ থেকে অক্সিজেনের অভাব মেটানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল।

এমনকি দিল্লি প্রশাসনের সঙ্গে বারবার এই বিষয় নিয়ে সংঘাত তৈরি হতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতিতে যাতে কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয়, তার জন্যই রাজ্য সরকার 35 টি প্লান্ট গঠনের রাস্তায় হাটল। যে ঘটনাকে কার্যত নজিরবিহীন এবং প্রশংসার যোগ্য বলে মনে করছেন সকলে। সব মিলিয়ে সময়ের আগেই অক্সিজেনের অভাব মেটাতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।