মাঠে লুকিয়েও হল না শেষরক্ষা, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মিলতেই আরাবুলকে খুঁজে বের করল পুলিশ রাজ্য May 12, 2018 অবশেষে গ্রেফতার হলেন আরাবুল। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপশালী নেতা এখন পুলিশের কবজায়। একটা নৃশংসহত্যা লীলার প্রেক্ষাপটে গোটা ভাঙড় যখন উত্তপ্ত, সেই পটভূমিতেই গ্রেফতার করা হলো আরাবুল’কে । ভাঙড়ের এই উত্তাল সময়ে সেখানকার ক্ষমতাশালী নেতাকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহল সহ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের এই সদস্যের গ্রেফতারের পিছনে সরকারের উদ্দেশ্যে কী শুধুমাত্র তাঁকে বাঁচানো না কী ভাঙড়ের মানুষের স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদকে সাময়িক প্রশমিত করা ! পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আরাবুল তাঁর বাড়ির পিছনের মাঠে আত্মগোপন করে ছিল । আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে সঙ্গে ছিলো তাঁর আরেক সাগরেদ। এদিন পুলিশ চিরুনি তল্লাশি করে আরাবুলের হদিশ পায়। শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই রাতে তাঁকে কাশীপুর থানায় রাখা হয়। অবশ্য আরাবুলের বাকি সঙ্গীদের খোঁজ পুলিশ এখনও পায়নি । প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল আরাবুলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতী খুদে। ঐ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত খুদে নিখোঁজ হয়ে যায়। ভাঙড় এলাকার স্থানীয় অধিবাসীদের থেকে জানা যায় আরাবুল ও তার ছেলে হাকিমুলের নেতৃত্বে জাহির, আব্বাস, সুভাষ মনোজ, বাসু, খাতিপ, সুফিয়ানরা মিছিলকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে বোমা ছোঁড়ে এবং এলোপাথারি গুলি চালায়। এদিকে জমি-জীবিকা-বাস্তুতন্ত এবং পরিবেশ রক্ষা কমিটির দাবি পূর্বোল্লিখিত সকলেই এরা সকলেই দুষ্কৃতী এবং এদের মধ্যে কয়েক জন আবার বহিরাগত দুষ্কৃতি। এত কিছুর পরেও এখন প্রশ্ন উঠছে আরাবুল কে গ্রেফতারের পরে কি এখন শান্ত হবে ভাঙড়ের অশান্ত পরিবেশ! তার জবাব অবশ্য সময়ই দেবে। আপনার মতামত জানান -