এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নারী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকা সাংসদ-বিধায়কদের সংখ্যায় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বাংলা

নারী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকা সাংসদ-বিধায়কদের সংখ্যায় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বাংলা


অল্প দিন আগেই উন্নাও ধর্ষণের ঘটনায় এক বিধায়কের জড়িত থাকার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। উন্নাও বলেই নয় এর আগেও এই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনায় বহু নেতা মন্ত্রীদের প্রত্যক্ষ সংযোগের কথা জানা গেছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র‌্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ বা এনইডব্লু এর নির্মিত সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গেলো এই ধরণের অপরাধমূলক কাজকর্মে জনগন নির্বাচিত নেতা মন্ত্রীদের সংযোগের পরিমান কত।রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের তালিকায় মহারাষ্ট্র প্রথম এবং পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মহারাষ্ট্রে অভিযুক্ত সাংসদ এবং বিধায়কদের সংখ্যা ১২।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের সংখ্যা ১১। আর রাজনৈতিক দলের নিরিখে বিচার করলে অপরাধী এবং অপরাধ প্রবণতার মাত্রার ভিত্তিতে প্রথম স্থানে রয়েছে বিজেপি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের মোট ছয় সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযাই জানা গেছে বিধায়ক এবং সাংসদ মিলিয়ে দেশের ৪৮ জন নির্বাচিত প্রতিনিধিই ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, যৌন নিগ্রহ বা অপহরণের মতো ঘটনায় অভিযুক্ত। এদিকে এডিআর’এর রিপোর্ট অনুযাই সারা দেশের সব রাজ্য মিলিয়ে বর্তমান নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের মধ্যে ৪৫ জন বিধায়ক এবং তিনজন সাংসদ এধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত। তাঁদের মধ্যে ২৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অথচ গত পাঁচ বছরে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের টিকিটে তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন এবং জয় লাভও করেছেন। গত বছর গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জি আহির জিতেছিলেন সেহরা কেন্দ্র থেকে। ২০১৪ সালে টিডিপি-র জি সূর্যনারায়ণ জিতেছিলেন ধর্মাভরম কেন্দ্র থেকে। ২০১৫ সালে আরজেডি-র গুলাব জিতেছিলেন ঝঞ্ঝাররপুর কেন্দ্র থেকে। ধর্ষনের অপরাধে অভিযুক্ত গুজরাত বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক জি আহির জিতেছিলেন সেহরা কেন্দ্র থেকে ২০১৭সালের নির্বাচনে, ২০১৪ সালে টিডিপি-র জি সূর্যনারায়ণ ধর্মাভরম কেন্দ্র থেকে এবং ২০১৫ সালে আরজেডি-র গুলাব ঝঞ্ঝাররপুর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। এছাড়াও ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে অভিযুক্তদের সংখ্যা পাঁচজন। অবশ্য এডিআর-এর রিপোর্টে রাজনৈতিক দলগুলিকে অভিযুক্ত নেতাদের নির্বাচনে মনোনীত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর বলা হয়েছে এই ধরনের মামলা গুলির বিচারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার কথা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!