মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলায় চালু হতে চলেছে অনন্য নজিরের নতুন পুরস্কার রাজ্য April 15, 2018 অল্প দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের পশ্চিমবঙ্গবাসী এক নজিবিহীন ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে। প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত এক বিশেষ সাহসীকতা পুরস্কারে পুরস্কৃত করেন সরকার মনোনীত কিছু ভারতবাসীকে। সেই অনুকরণে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সাহসীদের ও পুরস্কৃত করবেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে পুরস্কারের অর্থ মূল্য এক লক্ষ টাকা এবং সাথে রয়েছে প্রশংসাপত্র। নবান্ন সূত্রের খবর অনুযাই ২০১৮ সালেই ‘চিফ মিনিস্টার্স ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড’র আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হতে চলেছে। সব পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হলে আগামী ১৫ অগস্ট রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রাপকদের হাতে সাহসিকতার পুরস্কার তুলে দেবেন। উল্লেখ্য তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিল্প ,সাহিত্য , অভিনয়, শিক্ষা, সমবায়, কৃষক, এমনকি প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি সকলকেই তাঁদের কাজের যোগ্যতার নিরিখে পুরষ্কৃত করার রীতি চালু করেছেন। এবার সেই তালিকার আরেকটি পুরস্কার যুক্ত হলো। গত ৩ এপ্রিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও পাহাড় বিষয়ক দফতর এই মর্মে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, সাধারণ নাগরিকেরা একক কিংবা দলবদ্ধ ভাবেও সাহসিকতার পুরস্কার পাবেন। এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ কর্তা বললেন, ”কিছু দিন আগে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজিতে গুরুতর জখম হন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি অরিন্দম দত্ত চৌধুরী। সরকার নিশ্চয়ই তাঁর নাম বিবেচনা করবে।” এই পুরস্কারের ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের থেকে আলাদা নিয়ম চালু করেছে। কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সাহসিকতার জাতীয় পুরস্কার প্রাপক বাছাইয়ের বিষয়টি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে রয়েছে। তবে নবান্ন এই কোনো সংস্থার হাতে এই দায়িত্ব না দিয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর মনোনীত পাঁচজন সদস্যের একটি কমিটি তৈরী করেছে। কমিটির চেয়ারম্যান রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। এছাড়াও কমিটির সদস্য হিসেবে রাজ্য পুলিশের এডিজি (প্রশাসন)কমিটির সদস্য-আহ্বায়ক রূপে থাকবেন। কমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন আইজি (সদর), ডিআইজি (সদর) এবং কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার এক জন অফিসার। এদিন রাজ্য পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ কর্তা সংবাদমাধ্যমকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন,”সাহসিকতার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে পুরস্কার দেন তা কেবল ১৬ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সংখ্যাও নির্দিষ্ট, সর্বোচ্চ ২৫। কিন্তু নবান্ন তেমন কোনও বিধিনিষেধ রাখেনি।সাহসই এই পুরস্কারের মাপকাঠি। সংখ্যার বাধ্যবাধকতা রাখলে ওই মানবিক গুণকেই খাটো করা হয়।” সবদিক বিচার করে সাহসীকতার জন্যে রাজ্যের মানুষকে পুরস্কৃত রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহেই দেশের অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে অন্য মর্যাদা দেবে। আপনার মতামত জানান -