ব্রিগেডে এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে তৃণমূল নেত্রীর ভরসা বঙ্গ সংস্কৃতির গরিমা জাতীয় রাজ্য January 16, 2019 মঞ্চ এক লক্ষ্য অনেক! হ্যাঁ এমনটাই ইচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ১৯’এর ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ কেবল বিজেপি মুক্ত ভারত গড়ার ঐক্যবদ্ধ ডাক দেওয়ার জন্য নয়,এই কর্মসূচি লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের শাসকদলকে বিরোধী শক্তিজোটের ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকারও। আর তাই এই কর্মসূচিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বাংলার সংস্কৃতিকেই ব্যবহার করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম,পশ্চিম মেদিনীপুর,পুরুলিয়া,বীরভূম,বাঁকুড়া-বাংলা লোকসংস্কৃতির আদি পীঠস্থান এই পাঁচ জেলাকেই এবার ১৯’এর মঞ্চ থেকে চেনাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়ার ছৌ নাচ,ঝাড়গ্রাম-মেদিনীপুরের ধামসা-মাদল,বীরভূমের খোল-কীর্তণের রবে বাংলার লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যটাকেই ১৯’এর মঞ্চ থেকে তুলে ধরার অভিনব পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর,সামনেই ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশ। হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাকি মাত্র। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাবড় তাবড় অবিজেপি রাজনৈতিক নেতারা এই সমাবেশে উড়ে আসবেন। তাঁদেরকে একজোট করে ১৯’এর মঞ্চ থেকে দিল্লির মসনদ দখলের বার্তা যেমন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী,তেমনি বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্যও দেশের সামনে তুলে ধরবেন। দলীয় সূত্রের খবর বলছে,১৯’এর কর্মসূচি শুরুর আগেই তিলোত্তমা মুখরিত হবে ধামসা-মাদলের ধ্বনিতে। তার জন্য মূলত ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আনা হচ্ছে অসংখ্য ধামসা-মাদল। থাকছে বীরভূমের সেই প্রসিদ্ধ খোল-কীর্তণও। বিজেপির রথ নিয়ে কর্মসূচির আগে যা তুলে দেওয়া হয়েছিল জেলার কীর্তনীয়াদের কাঁধে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞদের মতে,ধামসা-মাদল আসলেই বিপ্লবের ধ্বনি তোলে। ভয়ংকর রবে যুদ্ধের আগে শত্রুকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার এ রেওয়াজ বহু পুরানো। তাই এই রবে ১৯’এর মঞ্চকে মুখরিত করে প্রতিপক্ষকে নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী শক্তির দাপট দেখাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের জন্য মোট চারটি মঞ্চ তৈরি হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। মূল মঞ্চে থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,তৃণমূলের রাজ্যস্তরের হেভিওয়েট নেতা সহ জাতীয় স্তরের নেতারা। পরের মঞ্চটিতে থাকবেন দলের সাংসদ,বিধায়ক ও মেয়ররা। তৃতীয় মঞ্চে থাকবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং অন্য পদাধিকারীরা আর চতুর্থ মঞ্চটি রাখা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্যে। এই মঞ্চ থেকেই বাংলার লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওদিকে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা নেতৃত্বরা জানিয়েছেন,১৯’এর ব্রিগেডের ময়দানে রেকর্ড পরিমান ভীড় হবে। প্রতিটি জেলা থেকে অসংখ্য বাসে করে দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের নিয়ে গিয়ে মাঠ ভরিয়ে দেওয়া হবে। এঁদের প্রতিটি গ্রুপেই ধামসা-মাদলের দল থাকবে। বাদ বাকি যারা থাকবে তারা ট্রেনে করে যাবে। একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বাঁকুড়া,পুরুলিয়াতেও। প্রতিটি দলই সমাবেশের দিন দুয়েক আগেই রাজধানীতে পৌছে যাবে। আর ট্রেনে যারা পৌছাবে তারা একদিন আগে যাবে। বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচির সময় অসংখ্য খোল-কীর্তন তুলে দিয়েছিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। সেই সব কিছু নিয়েই কীর্তনীয়ারা দু’দিন আগেই কোলকাতায় হাজির হবে বলেই জানালেন অনুব্রত মন্ডল। ব্রিগেড কর্মসূচির আগেই ধামসা-মাদল,খোল-কীর্তনের শব্দে মুখর হয়ে উঠবে কোলকাতা। গোটা কর্মসূচি নিয়েই শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতে কর্মব্যস্ততা তুঙ্গে রয়েছে তৃণমূল শিবিরে। আপনার মতামত জানান -