প্রার্থী হয়েও রক্ষা নেই, ডাক পড়ল নির্বাচনের কাজে যোগ দেওয়ার উত্তরবঙ্গ রাজ্য May 5, 2018 সম্প্রতি উভয়সংকট অবস্থায় ধূপগুড়ির তিন নির্দল প্রার্থী দীগেন্দ্রনাথ রায়,কনককান্তি রায় ও হীরণ্য অধিকারী। পরিচয়ে জানা যায়, দীগেন্দ্রবাবু ধূপগুড়ির মাগুরমারি ২ ব্লক থেকে পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। কনককান্তি আরামকেদারা প্রতীক নিয়ে ঝাড়আলতা ১ থেকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। হীরণ্যবাবু প্রার্থী হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতে। তিনজনই স্কুল শিক্ষক।ভোটে দাঁড়িয়েও ভোটকর্মী হিসাবে কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। নিজেদের ভোট প্রচারের বদলে সময় দিতে হচ্ছে কীভাবে ব্যালটে ভোটারদের সই করাতে হবে, আঙুলে কে কালি দেবে, ভোটার তালিকার সঙ্গে কারো নাম না মিললে কী করতে হবে, এসব শুনে। এই প্রশিক্ষণ এর পর আবার দায়িত্ব থাকছে নিজেদের ভোট প্রচারের। প্রচারে না গেলে ভোটে হারার ভয়, অন্যদিকে প্রশিক্ষণে না গেলে সরকারি চাকরি হারানোর ভয়ে তাঁরা জলে কুমীর ডাঙ্গায় বাঘ অবস্থার শিকার। অথচ মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই লিখিতভাবে স্কুল ও স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছিলেন বলে দাবী করেছেন তিনজনই। প্রতীক বরাদ্দ তিনজনের নামেই হয়েছিলো। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ভোটের প্রচার শুরু করার পরই কাঁধে এসে চাপে ভোটের কাজ। পঞ্চায়েত ভোটের টালমাটাল অবস্থায় প্রচার এমনই শিকেয় উছেছে। কিন্তু নিয়ম করে চলছে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ। আর নিয়মঅনুযায়ী ভোটের আগেরদিনই তিনজন ভোটকর্মীদেরই নির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্রে যেতে হবে তাঁদের এলাকা ছেড়ে। ফলে মহাবিপদে পড়েছে এই তিনজন নির্দলপ্রার্থী। এদিন দীগেন্দ্রবাবুর বক্তব্যেও পাওয়া গেলো চিন্তার ছায়া।জানালেন,”এলাকায় না থাকলে তো বিরোধীরা বেবাক ভোট লুঠ করবে। ভুয়ো ভোটার নিয়ে আসবে, আমি তো কিছুই করতে পারব না।” এদিকে দীগেন্দ্রবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট তপন রায়কেও রাখা হয়েছে ভোটকর্মীর তালিকায়।” এ তো মহা মুশকিল। প্রার্থী এজেন্ট দু’জনকেই সরকার ভোটের ডিউটি দিয়েছে। তা হলে আমাদের ভোটটা করাবে কে?” এমন প্রশ্নই ছুঁড়ে দিলেন তপনবাবু। অন্যদিকে, কনককান্তিবাবুর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন যে প্রশিক্ষণে উপস্থিত না থাকলে শো-কজ করা হবে। তারপরে সাসপেন্ড হওয়ার ভয় থেকেই যায়। তেমন কিছু হলে পুরো চাকরিজীবনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন আবার জানিয়েছে যে ভোট কর্মীদের কেউ প্রার্থী হয়েছেন তার উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারলে দ্রুত বাদ পড়বে সেই প্রার্থীর নাম। তবে কার্যত এখনও তার নমুনা দেখা যায়নি। তাই খানিক আশঙ্কিত হয়েই হীরণ্যবাবুর জানান যে তিনি প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন। পাঁচ বছরের ভোটের জন্য সারা জীবনের চাকরি খোয়াতে নারাজ তিনি। আপনার মতামত জানান -