আদালতে প্রাক্তন সহকর্মীর করা মামলায় তীব্র বিপাকে দিলীপ ঘোষ, হতে পারে জেল!! রাজ্য May 4, 2018 কলকাতা হাইকোর্ট এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডিপ্লোমার শংসাপত্র দেখতে চাইলো। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দিলেন গ্রীষ্মবকাশের প্রথম শুক্রবার আদালতে পেশ করতে হবে ঐ শংসাপত্র। উল্লেখ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে গত বছর জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কৃত অশোক সরকার। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এদিন অশোক সরকারের পক্ষ থকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আরিফ আলি। এদিন আইনজীবি আরিফ আলি আদালতে বলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বরূপ যে তথ্য দিয়েছেন সেটা ভুল। দিলীপ ঘোষের জানানো তথ্য অনুয়ারী তিনি ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা করেছেন। মামলাকারী অশোক সরকার তথ্যের অধিকার আইনে মামলা করে জানতে পারেন ঐ নামের কোনো কলেজের অস্তিত্বই নেই। পরে অবশ্য দিলীপ ঘোষ তাঁর তথ্যের সংশোধন করে জানিয়েছিলেন তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা করেছেন। এখানেও রেহাই পেলেন না দিলীপ বাবু। মামলাকারী ফের ঘটনার স্ত্যতা প্রকাশ করে অভিযোগ করলেন ঐ কলেজে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ নামধারী কোনও ছাত্রই ছিলোনা। আদালতে রাজ্য বিজেপি সভাপতির আইনজীবি অনিন্দ্য মিত্র এদিন সওয়াল করলেন মামলাকারী কে? কেনই-বা তিনি চ্যালেঞ্জ করছেন? নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। তা ছাড়া এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কোর্টের নয়। তাই এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। জবাবে প্রধান বিচারপতি পালটা প্রশ্ন করে বললেন, একজন ব্যক্তি তিনি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানাবেন না? তিনি কোথা থেকে পাশ করেছেন তা তিনি জানাবেন না? তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি কেন সত্য জানাবেন না? নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া হলফনামায় কেন ভুল তথ্য দেবেন? প্রধান বিচাপতির এই বিশ্লেষনের পরে দিলীপ বাবুর আইনজীবি অনিন্দ্য মিত্র নিজের ভুল স্বীকার করে বললেন ভুল তথ্য প্রদানের অভিযোগ এতো গুরুত্বপূর্ণ হলে এত দেরীতে মামলা করা হলো কেন ও? নির্বাচন কমিশনই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রধান বিচারপতি এই মামলার আইনজীবি আরিফ আলির কাছে সংশ্লিষ্ট মামলার কী আইনী সাজা আছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ছয় মাসের জেল এবং আর্থিক জরিমানা, দুটোই আছে। এরপরে আইনজীবি অনিন্দ্য মিত্র বিচারপতিকে জানান , ঝাড়গ্রাম আইটিআই কলেজ থেকে দিলীপ ঘোষের ডিপ্লোমা কোর্স করা আছে। এই কথা শোনার পরে প্রধান বিচারপতি আগামী সপ্তাহে ঐ ডিপ্লোমার শংসাপত্র আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন। যদিও দিলীপ বাবুর আইনজীবি জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রচারের কাজে ব্যস্ত, তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছেনা। তখন বিচারপতি গ্রীষ্মবকাশের প্রথম শুক্রবার আদালতে ঐ শংসাপত্র দেখানোর জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ থেকে প্রিয় বন্ধু বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি হল – Priyo Bandhu Bengali আমাদের সব খবর, সমস্ত আপডেট পাওয়া যাবে এখানেই – https://www.facebook.com/pbmediaofficial/ আপনার মতামত জানান -