এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভা ভোটের আগে কৃষকদের জন্য বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

লোকসভা ভোটের আগে কৃষকদের জন্য বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


লোকসভার মহাযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই কৃষকদের হাত শক্ত করে ধরে ফেলতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরে সেজন্যে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে বড়সড় ঘোষণা করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যসরকারের চালু করা অন্যতম প্রকল্প কৃষক বন্ধুর আওতাধীন চাষীদের সুবিধার জন্যে এবার স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।

গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। পূর্ব বর্ধমান,পশ্চিম বর্ধমান ও হুগলি এই তিন জেলার কৃষিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে হাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষি দফতরের যগ্ম কৃষি অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

বৈঠকে প্রদীপ বাবু জানিয়েছেন,সাধারণত রবি এবং বোরো মরশুমের আগে এই কৃষি সহায়ক অর্থ দেওয়ার কথা ছিল। যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ৩১ ডিসেম্বর তাই নভেম্বর মাসে যে অর্থ দেওয়ার কথা ছিল সেটাই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া শুরু হবে। এর পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফার টাকা দেওয়া হবে ১ জুন থেকে। তাই প্রকৃত চাষীরা কীভাবে এই রাজ্যসরকারের সহায়তা লাভ করতে পারবে সেটা জানাতেই চাষীদের নাম নথিভুক্ত করার বিষয়ে পরামর্শ দেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কোনোভাবেই যাতে ভুয়ো চাষীদের নাম এতে নথিভুক্ত না হয় সে ব্যাপারেও আধিকারিকদের সচেতন থাকতে বলেছেন। এই প্রকৃত চাষীদের নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর এইসব চাষীদের একটি করে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। ওই সংশ্লিষ্ট কার্ডেই তাঁদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিবরণ নথিভুক্ত করা থাকবে। ফলত বারবার তাঁদের ওই নথিপত্র আনতে হবে না। শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড দেখিয়েই ওই সরকারি প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা পেতে পারবেন চাষীরা।

প্রসঙ্গত, কৃষকদের স্বার্থে সম্প্রতি রাজ্যসরকারের চালু করা সবথেকে উল্লেখ্যযোগ প্রকল্প হল কৃষক বন্ধু। গত ৩১ ডিসেম্বর রাজ্যের সমস্ত শ্রেণির নথিভুক্ত চাষীদের এই প্রকল্পের আওতায় আনার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর কৃষিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আত্মহত্যার ঘটনায় এই ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট সুবিধাগুলি চাষীদের পরিবারেরা পাবেন কিনা তা নিয়ে বেশ বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল সম্প্রতি।

লোকসভা ভোটের আগে সেই বিভ্রান্তি দূর করার যেমন প্রয়োজন ছিল,তেমনই এই প্রকল্পের কাজ ঠিকঠাক চলছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখারও প্রয়োজন ছিল। আর সেজন্যেই তিনটি জেলার কৃষি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে প্রথম বার বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। এবং বললেন,”মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেই প্রাপ্ত বয়স্করা যারা নথিভুক্ত কৃষক তাঁরাই এই মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। যে সমস্ত চাষির নিজস্ব নথিভুক্ত জমি রয়েছে এমনকি বর্গাদার চাষিও তাঁদের নথি দেখালে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।”

এ বিষয়ে বিস্তারে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি আরো জানালেন,চাষের কাজে প্রতি একরে যে টাকা দেওয়া হয় সরকারি খাত থেকে,চাষ করলেই সেই সুবিধা পাবেন ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের চাষীরা। তবে চাষ না করলে এ সুযোগ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী,এমনটাই জানালেন তিনি।

এই মুহূর্তে সমস্ত জেলার চাষীদের এই রেকর্ড নথিভুক্ত করছেন জেলা কৃষি আধিকারিকরা। এর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে আর্থিক সহায়তা দিতে গিয়ে রেকর্ড পরিমান চাষীদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এবারের নথিভুক্তদের তালিকা গতবারের রেকর্ডকে টেক্কা দিয়েছে। ছোট থেকে বড় এমনকি বর্গাদারদেরও এই সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গোটা রাজ্যের নথিভুক্ত চাষীদের একটি ডাটা ব্যাঙ্কও তৈরি হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি জেলা কৃষি দফতরগুলি থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য,সম্প্রতি আর্থিকভাবে দূর্বল কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে ফসল বিমার পাশাপাশি শূন্য সুদে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে বিজেপি সরকার। তাই কৃষকদের ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখতেই কেন্দ্র সরকারের কৃষিঋণ দেওয়ার অভিনব ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের চাষীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বড়সড় প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,এমনটাই অভিমত ওয়াকিবহালমহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!