হজ যাত্রার ভর্তুকি বন্ধ করলো কেন্দ্র জাতীয় January 17, 2018 মক্কার কাবাগৃহ সংখ্যালঘু সমাজের কাছে একটি পবিত্র স্থান। প্রতি বছর দেশ বিদেশের বহুমানুষের সমাগম হয় মক্কায়। ভরত থেকে হজ করতে যাওয়া সংখ্যালঘুদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এত দিন কেন্দ্রীয় সরকার এই হজ যাত্রার ওপর ভর্তুকি দিত। কিন্তু আগামী বছর থেকে সেই ভর্তুকি বন্ধ করে দিলো কেন্দ্র সরকার। যদিও এর সুত্রপাত হয়েছিল ২০১২ সালে, সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছিলো যে হজ যাত্রায় দেওয়া ভর্তুকি সম্পূর্ণ অসংবিধানিক। ২০২২ সালের মধ্যে ধিরে ধিরে এই ভর্তুকি তুলে দিতে হবে। সেই কাজটাকেই তড়াতাড়ি শেষ করলেন মোদী সরকার। সরকারী সুত্রের খবর প্রতি বছর প্রায় ১লক্ষ৭৫ হাজার হজ যাত্রী কে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র।কেন্দ্রের তৎপরতায় আজ সুপ্রিমকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয় যে আগামী বছর থেকে ওই টাকা পাবে না কোন হজ যাত্রী তার বদলে ওই টাকা খরচ করা হবে সংখ্যালঘু উন্নয়নে। এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকার এরমত হল এই যে হজ যাত্রা সংখ্যালঘু সমাজে একটি অতি পবিত্র আচার, কোন ব্যক্তিতে তাঁর জীবনে অন্তত একবার হজে যেতেই হবে, সেই পবিত্র যাত্রা দানের টাকায় করা উচিত নয়। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি সংখ্যালঘু সমাজ। বিষয়টি নিয়ে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট মুক্তার আব্বাস নকতি জানান , ” হজ যাত্রা করতে হবে সততার সাথে ।” তিনি আরও জানানওই টাকা নিয়ে কিছু অসৎ ব্যক্তি নিজেদের আখের গোছান। কিন্তু ভর্তুকি বন্ধ হলে সমস্যায় পড়তে পারে গরীব মানুষরা সে বিষয়ে নকতি সাহেব জানান যে ২০১৯ সালের মধ্যেই জাহাজে হজ যাত্রার সূচনা করা হবে পোরবন্দর থেকে। তাতে যাতায়াতের বিপুল খরচ কমবে এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত বা গরীব লোকেরা সহজেই হজে যেতে পারবেন। এত কিছুর মধ্যেও কোথাও কোথাও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সপা নেতা আজম খান বলেন, ” মোদীর শুধু ভোট চাই তার জন্য তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন বাকি সব চুলোয় যাক।” কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ খুশিতেই আছে বেশির ভাগ মানুষ। আপনার মতামত জানান -