কেন্দ্র-রাজ্যস্তরের নেতাদের জেলায় পাঠিয়ে ‘ব্যূহ’ তৈরী করে শাসকসন্ত্রাস আটকাতে চায় বিজেপি বিশেষ খবর রাজ্য April 11, 2018 বিজেপি পক্ষের অভিযোগ অনুযাই রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক বিরাট অঙ্কের আসনে তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র পেশ করতে পারেনি । এই অভিযোগ কে বিষয় করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে সংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেন, এতগুলো আসনে যদি মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তা হলে ভোটের আগেই কি হেরে বসে থাকবেন না? প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বললেন,”তৃণমূলের ৪৩ হাজার, বিজেপি-র ২১ হাজার- এগুলো শুধুমাত্র কয়েকটা সংখ্যা, এগুলো কোনও হিসেব নয়। আজকের পরিস্থিতিতে এ সব সংখ্যার দিকে তাকিয়ে কিছুই বোঝা যাবে না। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে কারণ গণতন্ত্রটাকেই মেরে ফেলা হচ্ছে বাংলায়। অবাধ ভোট হতে দেওয়া তো দূরের কথা, বিরোধীদের ভোটে দাঁড়াতেই দেওয়া হবে না- শাসক দলের নীতিটা যেখানে এই রকম, পুলিশ-প্রশাসন যেখানে নির্লজ্জের মতো আচরণ করছে, নির্বাচন কমিশনে যেখানে কিছুই করতে পারছে না, সেখানে এই সব সংখ্যার দিকে তাকিয়ে কী হবে?” তিনি এখন হাইকোর্টের রায় বা মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা বাড়বে কী না এই বিষয়ে ভাবতে রাজী নঞ। তাঁর এখন প্রধান এবং একমাত্র নিশানা তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাস মুক্ত পশ্চিমবঙ্গ তৈরী করা। বাবুল বাবু এদিন বললেন, ”এখন দেখছেন ২১ হাজার আসনে আমাদের প্রার্থী রয়েছে। হয়ত আরও কিছু আসনে প্রার্থী দিলাম। তার পরে তো তৃণমূল নতুন খেলা শুরু করবে। যাঁরা মনোনয়ন জমা দিলেন, এ বার মেরেধরে, ভয় দেখিয়ে তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবে। এটা কি ভোট হচ্ছে!” এর প্রতিকার কী করে সম্ভব? এই প্রশ্নে তিনি বললেন,”আমি আসানসোল যাচ্ছি। টানা চার দিন ওখানে থাকব। ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা ওরা করবেই। সেটা আটকাতে হবে। কর্মীদের পাশে দাঁড়াতেই ওখানে যাচ্ছি।” এদিকে বিজেপি সূত্রের খবর অনুযাই , রাজ্য স্তরের বেশ কিছু নেতাকে জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে । উদ্দেশ্য শাসক দলের একচ্ছত্র সন্ত্রাস সত্ত্বেও যে সব জায়গায় মনোনয়নপত্র পেশ করা সম্ভব হয়েছে সেখানে যাতে নির্বাচন অবধি লড়াইটা বজায় রাখা যায়। আপনার মতামত জানান -