এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মাদ্রাসায় শূন্যপদ পূরণ নিয়ে বড় নির্দেশ, সচিবপদে যোগ্য ব্যক্তিকে না বসানোয় সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা

মাদ্রাসায় শূন্যপদ পূরণ নিয়ে বড় নির্দেশ, সচিবপদে যোগ্য ব্যক্তিকে না বসানোয় সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা

রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ন দপ্তরের সচিব বা ডব্লুবিসিএস অফিসারদের আইন বা ইংরেজী জ্ঞানশূন্য- একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী আদালতের আদেশ পালন কতেও তাঁরা জানেন না বলে এদিন ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি।

পাশাপাশি এদিন একটি মাদ্রাসা শূন্যপদ পূরনের জন্য ষষ্ঠ এসএলএসটি থেকে উত্তীর্ন প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রার্থীর নাম সুপারিশেরও এদিন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকী এই ব্যাপারে কতদূর কী এগোলো তা নিয়ে আগামী 23 আগষ্ট কোর্টে সমস্ত কিছু জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, নইমৌজা সাব-হানিয়া জুনিয়র গার্লস হাই মাদ্রাসার একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার নটি শূন্যপদ পূরনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও তা বাতিল করে রাজ্যের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বর্তমান সচিব। রিপোর্টে সুপ্রিম কোর্টের 17 মের নির্দেশ, সফল সহকারী উপযুক্ত চাকরীপ্রার্থীদের নাম, সাথে 2014 র 1লা জানুয়ারী পর্যন্ত ঘোষিত সমস্ত বেসরকারী ও সরকার অনুমোদন প্রাপ্ত মাদ্রাসার শূন্যপদ ঘোষনার কথাও বলা হয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

জানা গেছে, মালদহের এই মামলাকারী মাদ্রাসায় নটি শূন্যপদ পূরনের জন্য 2015 সালের 24 ফেব্রুয়ারী আবেদন জমা করলেও কমিশন তা হাতে পায় 2014 সালের 1 লা জানুয়ারীর পরে। কেননা, এই নটির মধ্যে একটি শূন্যপদের রিপোর্ট 2011 সালের 15 সেপ্টেম্বর ও বাকি আটটির রিপোর্ট 2013 সালের 13 ডিসেম্বর হাতে পায় কমিশন।

আর এমন পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে এই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এদিন তাঁর রায়ের শুরুতেই বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সচিবকে কটাক্ষ করে বলেন, “ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সময় থেকে এই মাদ্রাসা শিক্ষাব্যাবস্থা চালু হলেও বহু শাসকের বদল হয়েছে কিন্তু সেই ব্যাবস্থা শৃঙ্খলিত হয়নি। কোনোও ব্যাবস্থা পরিচালনা করা মানে এই নয় যে তা খারাপ ভাবে পরিচালনা করা।”

এরপরেই সরকারের সচিবকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “উপযুক্ত লোকই যাতে সচিব পদে বসে তার দিকে রাজ্য সরকারকে নজড় দিতে হবে।  এই ব্যাক্তিদের মত অন্যদের আইন, ইংরেজী ভাষা বা সাধারন বোধ সম্পর্কে অস্বস্তি নিয়েও আদালতকে তাঁর অভিমত দিতে না হয়।” সব মিলিয়ে মাদ্রাসা শূন্যপদ পূরন মামলায় সরকারের সচিবকে তীব্র ভর্ৎসনা কোলকাতা হাইকোর্টের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!