এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মন্ত্রীর ভাই সহ ৩৮ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি সরকারি উকিলের

মন্ত্রীর ভাই সহ ৩৮ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি সরকারি উকিলের


গত সোমবার আলিপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৮ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এক দায়রা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করলেন। শুধু তাই নয় জামিনে থাকা ওই ৩৮ জন অভিযুক্তর নাম বিচারক এদিন মামলা থেকে নিষ্কাশিত করে দেন। উল্লেখ্য এই ৩৮ জন অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের এক মন্ত্রীর ভাই। তবে এই ৩৮ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জন অভিযুক্ত ফেরার থাকায় বিচারক এদিন তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির নির্দেশ দেন। এই মামলার বিষয়ে দুই সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় ও সাথী সেন সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরে বললেন, ” মামলার কেস ডায়েরি দেখে দেখা যায়, পূর্বতন সরকার রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই অভিযুক্তদের ওই মামলায় জড়িয়ে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, যারা গ্রেপ্তার হয়েছিল, তারা সকলেই একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। আরও আশ্চর্য হল, পুলিস অভিযুক্তদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় যে বক্তব্য রেকর্ড করেছিল, তাতে দেখা যায়, সকলের বক্তব্যই এক। এটা কি কখনও সম্ভব? সবার বক্তব্য কি কখনও এক হতে পারে? তাই মামলার সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে সরকারের মনে হয়েছে, যেনতেন প্রকারে অভিযুক্তদের জড়িয়ে দেওয়াই তৎকালীন সরকারের উদ্দেশ্য ছিল।
সে কারণেই এই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছিল কোর্টের কাছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২১ ধারা মোতাবেক ওই আবেদন জানানো হয়। এদিন দীর্ঘ শুনানির পর আদালত সরকারেরপক্ষের ওই আবেদনে সিলমোহর দেয়।” আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহকারী সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী বললেন,”২০০৮ সালে মোট ৪৪ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে চারু মার্কেট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময় দু’জন মারা যান। চারজন ফেরার। বাকি ৩৮ জন এদিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ” আদালত সূত্রে এই মামলার বিষয়ে জানা গেছে যে ২০০৮ সালের ৪ অক্টোবর চারু মার্কেট থানা এলাকায় একটি বাস দুর্ঘটনা হয়। তা নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপরে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরী করলে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটি উদ্ধারের কাজে দেরী হয়। পুলিশ ও ঘটনাস্থলে যেতে দেরী করে। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা পুলিস ও থানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। দু’-একটি গাড়ি ছাড়াও ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি মোটর সাইকেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ, পরে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। ওই ঘটনায় পুলিশ ৪৪ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এদিন মুখ্য সরকারী আইনজীবি বললেন, “নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঠিক হয়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওঠা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। তারই ভিত্তিতে আইন দপ্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই এই মামলাটি প্রত্যাহারের বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়। অবশেষে আদালতে ওই আবেদন জানানো হয়।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!