এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দলের নেতাদের ‘কুকথা’-র তোড়ে ব্যতিব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

দলের নেতাদের ‘কুকথা’-র তোড়ে ব্যতিব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভারতের সাম্প্রতিক নানা ঘটনা সহ বিজ্ঞান , ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনী সর্বক্ষেত্রেই নানা ভ্রান্ত মন্তব্য করে কেন্দ্রে শাসকদল বিজেপির বহু নেতা মন্ত্রী সাংসদ ,বিধায়ক বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে। এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগেগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন তাঁর নিজের অ্যাপ-এর (নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ) মাধ্যমে সারা দেশে বিজেপি নেতাদের সতর্ক করলেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন অন্যসব নেতা মন্ত্রীদের বোঝালেন তাঁদের এইসব ভিত্তিহীন মন্তব্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এক ঘন্টার কথা বার্তায় দলের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী বললেন, , ”আমরা ভুল করছি আর সংবাদমাধ্যমের হাতে ‘মশলা’ তুলে দিচ্ছি। ক্যামেরা দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কথা বলছি, যেন আমরা কোনও বিরাট সমাজবিজ্ঞানী অথবা বিশ্লেষক।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

প্রকৃত তথ্য না জেনে করা সেই সব মন্তব্যকে ব্যঙ্গ করছে সংবাদমাধ্যম। এতে সংবাদমাধ্যমের দোষ নেই।প্রত্যেকে যদি মতামত দিতে শুরু করেন, তা হলে মূল বিষয়টা থেকে নজর সরে যায়। উত্তর দেওয়ার জন্য উপযুক্ত লোক আছে।” উল্লেখ্য গত বছর এপ্রিল মাসে দলীয় এক সম্মেলনে মোদী তাঁর দলের নেতা কর্মীদের বলেছিলেন ”চুপ করে থাকা অভ্যাস করুন।” দেশের এবং বিজেপি দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে ঐ কথা যে এখন কত প্রাসঙ্গিক তা টের পাওয়া যাচ্ছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্র মোদীর দলীয় কর্মী ও নেতা মন্ত্রীদের সতর্ক বার্তা দেওয়ার পরে তাঁর মন্ত্রীসভার প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বলেছেন, ”এই ধরনের ঘটনা (ধর্ষণ) দুর্ভাগ্যজনক। কখনও কখনও থামানো যায় না। এত হইচইয়ের কী আছে?” একই দিনে মধ্যপ্রদেশের বালিয়ার সাংসদ ভরত সিংহ বললেন,”কংগ্রেসকে নিয়ন্ত্রণ করেন খ্রিস্টান মিশনারিরা। এই সব মিশনারির নির্দেশে কাজ করেন সনিয়া গাঁধী। দেশের ঐক্যের জন্য এই মিশনারিরা বিপজ্জনক।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন দলীয় নেতা মন্ত্রীদের এইরকম একাধিক ভিত্তিহীন উত্তেজক মন্তব্যকে ঘিরে সঙ্কটজনক অবস্থানে চলে যাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক বিজেপি । যার প্রভাব পড়তে পারে আগামী লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!