এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অধিকাংশ পুরাসভাই নিয়ম মেনে খরচ করে না, পুর-আইনে ব্যাপক রদবদল আনতে চলেছে রাজ্য

অধিকাংশ পুরাসভাই নিয়ম মেনে খরচ করে না, পুর-আইনে ব্যাপক রদবদল আনতে চলেছে রাজ্য


চেকে সই করার ক্ষমতা আগেই কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।এবার পৌরসভার যাবতীয় খরচ এবং আয়ের উৎস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রশাসকদের হাতে তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর,রাজ্যের 15 টি পুরসভার  বার্ষিক হিসাব ও অনলাইন সম্পত্তি কর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য সেখানকার চেয়ারম্যান এক্সিকিউটিভ অফিসার ও সেনা অফিসারদের তলব করা হয়েছে। সল্টলেকের নগরায়নে মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে খবর। সরকারি আধিকারিকদের মতে, প্রত্যেকবার পুরসভার যাবতীয় আয় ও হিসেব জানতে চাইলে তা নিয়ে  বিস্তর জলঘোলা তৈরি হয়। আর সেই জায়গা গুলিকেই মেরামতি করতে এবার জনপ্রতিনিধিদেরকে বদলে সেই জায়গায় ইও বা এফওদের কাজে লাগাবে সরকার। সূত্রের খবর,এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের কর্তারা টেন্ডারও ও পুরসভার যাবতীয় হিসেব-নিকেশ সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার মতে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সিংহভাগ পুরসভার চেয়ারম্যানরাই  নিজের লোকদের কাজ পাইয়ে দিতে টেন্ডারে একাধিক কারচুপি করেন।আর পরে ভ এই সংক্রান্ত হিসেব চাওয়া হলে এজি তা অস্বীকার করেন। ঋর এটাই রাজ্যের কাছে চরম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুধু এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদানের অর্থ পেশ করার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে এই পুরসভৃগুলির বিরুদ্ধে। সরকারের দাবি, এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতেই এই ধরনের ধরনের পদক্ষেপ। জানা গেছে এদিনের বৈঠকেই চেয়ারম্যানদের সামনে পৌরসভা গুলির দায়িত্ব প্রশাসনের হাতে তুলে দেবে সরকার। তবে সরকারের এই উদ্যোগ যে তাঁরা ভালো চোখে নিচ্ছে না তা স্পষ্ট করেছে রাজ্যেরই এক পুরসভার চেয়ারম্যান।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই চেয়ারম্যান বলেন, “নবান্ন আমলাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মন্ত্রীদের থেকে সচিবদের ক্ষমতায় বেশি। এবার সেই ফর্মুলা এই পুরসভাগুলিতেও আনতে চলেছে সরকার। আগামী দিনে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে এটাই অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি পুরসভাগুলিতে স্বজনপোষনের অভিযোগ উঠছে। তাই এবার দলীয় জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি আটকাতে পৌরসভাগুলিতেও আমলাতন্ত্র নিয়ে আসতে চান মমতা বন্দোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!