এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নদীয়ার যেখানে যেখানে “শক্ত জমি” সেখানেই “পাচনের বাড়ি” স্পষ্ট করলেন অনুব্রত মণ্ডল

নদীয়ার যেখানে যেখানে “শক্ত জমি” সেখানেই “পাচনের বাড়ি” স্পষ্ট করলেন অনুব্রত মণ্ডল

এতদিন বীরভূম জেলার তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলার সংগঠনকে ঠিক রাখতে কখনো গুড় বাতাসা, কখনো বা চরাম চরাম ঢাক বাজানো, আবার কখনও পাচনের বাড়ি দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন।আর এবারে নদীয়া জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়ে সেইখানেও শক্ত জমিতে পাচনের বাড়ি দেওয়ারই নিদান দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় ছায়া সঙ্গী হিসেবে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডলের দাপটে বিরোধীরা কার্যত এক ঘাটে জল খায়। আর তাই এবারে অপেক্ষাকৃত দুর্বল থাকা নদীয়া জেলার সংগঠন সেই অনুব্রত মণ্ডল তথা ভাই কেষ্টর হাতেই দিয়েছেন দলনেত্রী। আর সেই নদীয়া জেলার দায়িত্ব নিয়েই সোমবার নদীয়ার তেহট্টে করিমপুর, তেহট্ট ও পলাশীপাড়া বিধানসভার সমস্ত ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন অনুব্রত মণ্ডল।

এদিনের এই বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, নদিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত, পলাশীপাড়ার বিধায়ক তাপস সাহা এবং করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মিত্র সহ অন্যান্যরা। সেইখানেই নিজের চিরপরিচিত স্বভাবে বক্তব্য রাখেন অনুব্রত মণ্ডল। জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলার যে সমস্ত পঞ্চায়েতে খারাপ ফল হয়েছে সেখানে কেন এমন ফল হল তা বুথ সভাপতিদের কাছে জানতে চান অনুব্রতবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি গ্রামের সমস্যা মেটাতে সাধারণ মানুষের সাথে জনসংযোগ করারও পরামর্শ দেন দলীয় নেতা মন্ত্রীদের। অন্যদিকে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত পঞ্চায়েত প্রধানদের সতর্ক করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কারও সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না। পঞ্চায়েতে কেউ এলে তাঁকে চা খাওয়াবেন। সমস্ত স্বার্থ ত্যাগ করে মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করুন। আপনারা মানুষকে উন্নয়নের ব্যাপারে ঠিকমতো বোঝাতে পারেননি। আমাদের সরকারের আমলে সমস্ত রকম উন্নয়ন করা হয়েছে।”

পাশাপাশি অঞ্চল সভাপতি এবং বুথ সভাপতিদেরও একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে চলার নির্দেশ দেন নদীয়া জেলা তৃনমূলের এই নতুন পর্যবেক্ষক। অন্যদিকে ধনঞ্জয়পুর অঞ্চলে 14 টি আসন পাওয়া সত্ত্বেও কেন প্রধান পদ গঠন করতে পারল তৃনমূল এদিন সেই ব্যাপারেও অঞ্চল সভাপতির কাছে এদিন কৈফিয়ৎ চান অনুব্রত মণ্ডল। আর এই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল ফের উর্বর জমিতে পাচনের বাড়ি দেওয়ার নিদান দেন।

এদিন তিনি বলেন, “পাচন যেখানে যেখানে দরকার সেখানেই তা দেওয়া হবে। নদীয়ার মাটি উর্বর মাটি। এখানকার যেখানে যেখানে জমি শক্ত আছে, সেখানেই পাচন দেওয়া হবে।”

অন্যদিকে এদিন দলীয় কর্মীদের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নদীয়া জেলার তিনটি বিধানসভায় 30 হাজার করে লিড দেবে তৃনমূল কংগ্রেস বলেও বিরোধীদের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নদীয়ার সদ্য তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সব মিলিয়ে এবার বীরভূমের কায়দায় পাচনের বাড়ি মারার কথা বলে নদীয়া জেলার সংগঠনকে বৃদ্ধি করার নিদান দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কেষ্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!