নারদ তদন্তের ৬০% কাজ শেষ, বাকি কাজ আটকে ৩ মহাজটে রাজ্য April 17, 2018 নারদ মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্বে কিন্তু এখনও রয়ে গেছে কয়েকটি খটকা। তবে নারদ মামলার তদন্তের শেষে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা অনুযায়ী এই নিয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে কোনো অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবেনা। আদালত অনেক আগেই নারদ মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলো। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই ২০১৭ সালের ১৭ ই এপ্রিল এফআইআর দায়ের করে পাকাপাকিভাবে তদন্তে নেমেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই এক বছরে নারদ মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনকেই সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে কিন্তু এখনও মামলার চার্জশিট জমা পড়েনি। এ বিষয়ে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল বললেন, ‘‘জানি না তদন্ত কী হচ্ছে! আমি হতাশ!’’ তদন্তের কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ বলে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের একাংশ দাবি করেছে। সিবিআইয়ের তরফ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, ‘‘এটাই বলা যেতে পারে, তদন্তের শেষে তদন্তকারী সংস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে হবে না। সেভাবেই তদন্ত প্রক্রিয়া এগোচ্ছে।’’ এদিকে নারদ কান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় , এই মামলার তদন্ত নিয়ে কটাক্ষ করে বললেন, ‘‘সবে এক বছর হয়েছে। এটা শতবর্ষ পর্যন্ত যাবে।’’ এখন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে তদন্তে কোন কোন জায়গায় খটকা তৈরী হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে,প্রথমত, নারদের গোপন ক্যামেরা অভিযানে ফুটেজের সঙ্গে ম্যাথু এবং অভিযুক্তদের সাক্ষাৎস্থল মিলিয়ে দেখা হয়েছে। যার মধ্যে দুটি জায়গা তদন্তকারীরা এখনও ঘুরে দেখতে পারেননি। একটি বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জা সঙ্গে ম্যাথুর লেনদেনের জায়গা। অন্যটি হলো বিজেপিনেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে ম্যাথুর বৈঠকের জায়গা। দ্বিতীয়ত, গোপন ক্যামেরা অভিযানের মূল ফুটেজটি এখনও পাওয়া যায়নি। সেটা উদ্ধারের জন্য অভিযানে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া চলছে। তৃতীয়ত, মামলায় ১৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে মাত্র তিনজন স্বেচ্ছায় গলার স্বরের নমুনা দিয়েছেন। বর্তমানে বাকিদের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া চলছে। আপনার মতামত জানান -