এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গোঁজ-প্রার্থীদের নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল শীর্ষনেতৃত্ত্ব, ঘাসফুল শিবিরের বড় নৈতিক সিদ্ধান্ত

গোঁজ-প্রার্থীদের নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল শীর্ষনেতৃত্ত্ব, ঘাসফুল শিবিরের বড় নৈতিক সিদ্ধান্ত


রাজ্যের বহু প্রতীক্ষিত পঞ্চায়েত নির্বাচন সমাপ্ত হলেও বিক্ষুদ্ধ নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ কিছুতেই কমছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। এদিন সেই উদ্বেগমুক্ত হওয়ার জন্যেই এদিন দলের পক্ষ থেকে এক নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। জানানো হয়েছে এবার নির্দল প্রার্থীরা দলের সরকারি প্রার্থীর বিরুদ্ধে জিতলেও তাঁদের দলে প্রত্যাবর্তনের কোনো সুযোগ দলের পক্ষ থেকে দেওয়া হবেনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাঁরা দলের হুইপ অমান্য করে নির্দল হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাঁদের দলের ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এমনকি দলের পক্ষে একথাও বলা হয়েছে যে নির্দল বিজয়ী প্রার্থীদেরকেও দল আর সদস্য হিসেবে স্বীকার করবে না। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, বোর্ড হাতছাড়া হলেও নির্দল প্রার্থীদের সাহায্য নেওয়া হবে না। পার্থ বাবু স্পষ্ট ভাষায় বললেন, “নির্দল হয়ে জিতে যাঁরা ভাবছেন, সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দলে ঢুকে পড়বেন, সুযোগসন্ধানী সেই সমস্ত সদস্যদের দলে ঠাঁই দেওয়া হবে না। বোর্ড গঠনে সমস্যা হলেও সিদ্ধান্ত বদল করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। নির্দল প্রার্থী বা নির্দল সদস্যদের দলে ফেরানোর কোনও প্রশ্নই নেই।” অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাজ্যের বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসের ঘটনার দায় বিরোধী দলের ওপরে চাপিয়ে পার্থ বাবু এদিন দাবি করলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্ধনেই রাজ্যে এই অপ্রত্যাশিত সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মে মোট ৫০ টি চিঠি শাসক দলের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে পার্থ বাবু কার্যত অভিযোগের সুরে বললেন, ” তৃণমূলকে হারাতে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস জোট বেঁধেছে। কোনও আদর্শের ভিত্তিতে এই জোট হয়নি। এই জোটের একটাই লক্ষ্য তৃণমূলকে হারানো। মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!