শ্যাম রাখি না কুল? জয়ী ‘গোঁজদের’ নিয়ে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য May 21, 2018 রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিক্ষুদ্ধ কর্মীদের রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে মনোনীত না হয়ে পেরে বহু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র পেশ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এখন এই সকল দলীয় কর্মীকে কী করে দলের মূল স্রোতে ফেরানো হবে তা নিয়ে দলের অন্দরে ভাবনা চিন্তা চলছে। দলের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে অনেক ভিন্নমত। দলের একাংশের মতে এইসকল নির্দল প্রার্থীদের পুনরায় দলীয় সদস্য পদ মঞ্জুর করলে তা আগামী দিনে বিবাদের পরিস্থিতি তৈরী করবে। অন্যদিকে দলের অন্য অংশের নেতাদের মতে যেখানে বোর্ড গঠনে নির্দলদের প্রয়োজন সেখানে নেওয়া যেতে পারে। তবে সবক্ষেত্রেই নির্দলদের দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে তা ফলপ্রসু নাও হতে পারে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্যের কোনো জেলা পরিষদেই নির্দল প্রার্থী সেভাবে নেই। এবং পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে এই সংখ্যা বেশ সীমিত। উল্লেখ্য নির্দলদের মধ্যে ৭৫ % তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক না পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। এখন দলীয় নেতৃত্ব দেড় হাজার এইরকম বিজয়ীর তালিকা প্রস্তুত করে জেলা ভিত্তিক আলোচনার পরিকল্পনা শুরু করেছে । তবে এই প্রক্রিয়া স্বভাবতই বিজয়ী নির্দল প্রার্থীদের সাথে দলীয় পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে বিরোধের আশঙ্কা রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পরে দলের প্রার্থীকে পরাজিত করে বিরোধী জোটের অনেক জয়ী প্রার্থীই বর্তমানে দলের সদস্য। সেক্ষেত্রে এই দুই অংশের মধ্যে সাংগঠনিক স্তরে বিরোধও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যদিও নির্বাচনের আগে নির্দলদের দলে না ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে ফল প্রকাশের পর সেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দলের শীর্ষনেতৃত্বের ব্যাখ্যা, এই নির্দলদের অনেকেই দলের প্রার্থী তালিকায় ছিলেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্তদের অনিয়মে তাঁরা দলীয় প্রতীকে স্বীকৃত হননি। তাই বিজয়ীদের দলে জায়গা দেওয়ার সমভবনা রয়েছে । এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখ্য সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ”নির্দলেরা কেন নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তা দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংগঠনিক পরিস্থিতিও বিশ্লেষণ করবে দল।” অবশ্য দলের বেশ কিছু নেতার মতে নির্দল প্রার্থীদের সংখ্যার নিরিখে দেখা দরকার। তার যে সংখ্যায় জয়লাভ করেছে তাতে তাঁদের উপেক্ষা করা হলে আখেরে দলেরই ক্ষতি হবে। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব লোকসভা নির্বাচনের আগে সেইরকম কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ। আপনার মতামত জানান -