অনলাইনে মনোনয়ন নিয়ে নতুন জল্পনা, হাইকোর্টে আবার মুখ পুড়ল কমিশনের রাজ্য May 3, 2018 বর্তমান সময়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন দুয়েরই চরম ভাগ্য বিপর্যয় চলছে। নানা কারণে আদালতে বিচারপতির কাছে বিরাগভাজন হতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে । এবার অনলাইন মনোনয়নপত্র পেশ ইস্যুতে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বিদ্ধ করলো। নির্বাচন কমিশনের থেকে হাইকোর্ট এবার সিপিএমের মেলের মাধ্যমে করা মনোনয়নের বিস্তারিত জানতে চাইল। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিপিএমের করা অনলাইন মনোনয়ন সংক্রান্ত একটি মামলায় কমিশনের আইনজীবীকে তীব্র ধীক্কার জানালেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে কমিশনের আইনজীবী অনলাইন মনোনয়নপত্র পেশে আপত্তি জানালে বিচারপতি তাঁকে ধীক্কার জানায়। বিচারপতি এদিন বললেন কবে, কখন, কতগুলি মনোনয়নপত্র মেল মারফত পেশ হয়েছিলো তা রিপোর্ট আকারে আদালতে পেশ করতে । এমনকি বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এদিন আবেদনকারীদেরও বলেন, কবে অনলাইনে মনোনয়ন পত্র পেশ করা হয়েছিল, কতগুলি মনোনয়ন পত্র পেশ করা হয়েছিল, তা জানাতে হবে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। উল্লেখ্য এ প্রসঙ্গে কমিশনের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, হাইকোর্টেরই অন্য বেঞ্চএর বিচারপতি এই অনলাইন মনোনয়নপত্র পেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার কনির্বাচন কমিশনকে ধীক্কার জানিয়ে বললেন, “এটা তো আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি জানতে চাইছেন কখন, কবে, কতগুলি মনোনয়ন অনলাইনে পাঠানো হয়েছিল। আবেদন আদতে কতদূর সত্য। তাও কি আপনারা পারবেন না।” এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য বিচারপতি সুব্রত তালুকদার নির্বাচন কমিশনকে ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের হোয়াটসঅ্যাপে করা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাঁরই এজলাসে সিপিএম পরদিন ই মেল করে পাঠানো মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করার আর্জি জানায়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, অনলাইনে মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে কি না, সেটা পুরোপুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত, সেখানে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না । আর হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন বিশেষ পরিস্থিতিতে করা হয়েছে। তাই তা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে অনলাইনে মনোনয়ন পেশের কোনও সম্পর্ক নেই। ওটা একেবারেই একটা পদ্ধতি, সেটা প্রয়োগ হবে কি না, তা স্থির করবে নির্বাচন কমিশন, হাইকোর্ট নয়। এত কিছুর পরেও বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের বেঞ্চ এর নির্দেশে নির্বাচনী লড়াইয়ে নতুন উদ্যোম ফিরে পাওয়ার সম্ভবনা তৈরী হয়েছে বাম শিবিরের। আপনার মতামত জানান -