এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > পুরোদস্তুর যুদ্ধ এখনই নয়, ছোট ছোট আক্রমণে পাক জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দেওয়ায় এখন মূল লক্ষ্য

পুরোদস্তুর যুদ্ধ এখনই নয়, ছোট ছোট আক্রমণে পাক জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দেওয়ায় এখন মূল লক্ষ্য


গত 14 ই ফেব্রুয়ারি পবিত্র ভালোবাসার দিনে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী সংগঠনের পক্ষ থেকে এক নৃশংস হামলায় প্রাণ গিয়েছে ভারতের প্রায় 42 জন জওয়ানের। আর প্রাণঘাতী এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে কঠোর বদলা দিতেই হবে বলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে উঠতে শুরু করেছে নানা দাবি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রায় প্রত্যেকেরই আবেদন যেন-তেন প্রকারেণ এবার ভারত পাকিস্তানের প্রতি বদলার রাস্তায় হাটুক।

আর সাধারণ মানুষ ও দেশবাসীর এই আবেগকে মান্যতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রায় প্রত্যেকেই মুখেই শোনা গেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলার রাস্তায় হাঁটার কথা। এমনকি এই ব্যাপারে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এবারে পাকিস্তানি প্রতি বদলা নিতে ধীরে ধীরে পরিকল্পনামাফিক এগোতে চাইছে ভারত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, একদিকে কাশ্মীরে ঢুকে পড়া পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের খোঁজে একদিকে যেমন চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে, ঠিক তেমনই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা পাকিস্তান বাদে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেই পাকিস্তানকে কোণঠাসা করে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকেও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের পণ্য পরিবহনের শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হল। আর এতে অনেকটাই চাপে পড়েছে সেই পাকিস্তান।

তবে পাকিস্তানকে একঘরে করে দেওয়ার জন্য দুটি বিকল্প নীতির উপর বিশেষ করে জোর দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে একটি হল সার্জিকাল স্ট্রাইক আর দ্বিতীয়টি সীমান্ত পেরিয়ে বিমান হানা করে জঙ্গি শিবির বা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ধ্বংস করে ফের ভারতে ফিরে আসা। আর এঈ ব্যাপারে কিছুটা সতর্ক হতে চাইছে ভারত। কেননা যদি হঠাৎ করে পাকিস্তানে হামলা করা হয় তাহলে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে তারা নালিশ জানিয়ে অভিযোগ করতে পারে যে, প্রমাণ ছাড়াই ভারত কেন একতরফা আগেভাগে তাদের দেশে হামলা চালাল!

আর এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার ঘটনায় এক ঝাঁক তথ্য-প্রমাণ তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছেন। যাতে ওই নথি থেকেই প্রমাণ হিসেবে খাড়া করিয়ে পাকিস্তানের প্রতি বদলা নিতে সুবিধা হয় ভারতের। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেন-তেন প্রকারেণ কেন্দ্রীয় সরকারকে পাকিস্তানের প্রতি এবার বদলা রাস্তায় হাঁটতেই হবে। কেননা আর কিছুদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন।

আর সেই লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন ভারতবর্ষের সমস্ত রাজনৈতিক দল পাকিস্তানে জঙ্গি দমন করার জন্য ভারতের সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তখনই সরকারের পক্ষ থেকে কোনোরূপে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যে তা কেন্দ্রের শাসকদলের দিকে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে তা অনুভব করেই এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজেদের তথ্য প্রমাণ নিয়ে পাক জঙ্গী সংগঠনকে নিকেশ করতে উদ্যোগী ভারত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!