এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পঞ্চায়েতের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হতেই ‘মুকুল-আতঙ্কে’ ভুগছেন অধীর থেকে অনুব্রত

পঞ্চায়েতের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হতেই ‘মুকুল-আতঙ্কে’ ভুগছেন অধীর থেকে অনুব্রত


পঞ্চায়েতের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হতেই ‘মুকুল-আতঙ্কে’ ভুগছেন অধীর থেকে অনুব্রত। কেননা নির্বাচন কমিশন এবার নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই মাসে আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশ করেছে। প্রথম দফায় ১২টি ও দ্বিতীয় দফায় বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের মতন ২টি জেলায় এবং তৃতীয় দফায় ৬টি জেলায়। সব মিলিয়ে নির্বাচন হবে তিন দফায় ভোট হবে ২০ টি জেলায়। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মাত্র দুটি জেলা বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের ভোট করানোর সিদ্ধান্তের পিছনে দেখছেন মুকুল রায়ের ‘চক্রান্ত’কে দেখছেন রাজ্যের শাসক দল থেকে বিরোধী সবাই।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

পাশাপাশি তাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে যে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে কি এবার ভোট হবে যদি তাই হয় তবে তা কত বাহিনী চাওয়া হবে?এই নিয়ে মুকুলবাবু সরাসরি না দুষলেও নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ”এই নির্বাচন কমিশনার টিথলেস টাইগার। মীরা পান্ডে পাঁচ দফায় নির্বাচনের জন্য আদালত পর্যন্ত গিয়েছিলেন। এঁনার কোনও ব্যক্তিত্ব দেখতে পাচ্ছি না। ইতি কার্যত শাসকের মুখ হয়ে গিয়েছেন।” পাশাপাশি আশঙ্কার সুরে বলেন,”নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল যেভাবে ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে, তাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট হবে কি না সন্দেহ আছে।” কিন্তু রাজনৈতিকমহলের মতে অধীরবাবু শাসকদলের পাশাপাশি মুকুল রায়কেও ভয় পাচ্ছেন। কেননা আসে শাসকদলেই ছিলেন মুকুলবাবু.তাই শাসকদলের কাজকর্ম সব তাঁর চেনা। ফলে এখন বিজেপি নেতা হওয়ায় দরুন তিনি বিজেপির তরফ থেকে শাসকদলের প্রতি সমস্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। অন্যদিকে সেক্ষেত্রে অধীরবাবুর কংগ্রেসের উপর সমস্ত চাপ এসে পড়বে। অন্যদিকে শাসকদলের মুকুলাতঙ্কের কারণ হলো বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মুকুল রায় দাবি করেছিলেন, ”পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের অন্যত্র কি ফলাফল হবে জানি না। তবে চ্যালেঞ্জ করে বলছি- সিউড়ি জেলা পরিষদ আমরা দখল করবই করব। এই জেলার প্রত্যেকটা আসনে আমরা প্রার্থী দেব।” কিন্তু যদিও অনুব্রতবাবু সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ”জেলার প্রতিটি বুথ পাহারায় থাকবেন কর্মীরা। বিরোধীদের কোনও মনোনয়ন পত্র জমা করতেই দেব না।”এদিকে আলাদা করে ভোট হওয়ায় অনুব্রতবাবুর অনুগামীদের দাবি এসব ষড়যন্ত্র করে করাচ্ছেন মুকুলবাবু। আর তাই অনুব্রতবাবুর কপালে একটু হলেও চিন্তার চাপ ফেলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে গত পঞ্চায়েত ভোটে সব থেকে বেশি গোলমাল হয়েছিল বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। তাছাড়া সাম্প্রতিক অতীতে সংশ্লিষ্ট দুটি জেলাতেই সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে। একাধিক প্রাণহানী ঘটেছে জেলাগুলিতে। তাই সুষ্ঠভাবে নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে অতি স্পর্শকাতর এই দুটি জেলাকে একেবারে আলাদা করে বাছা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!