এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শাসকদলের ‘পঞ্চায়েতি সন্ত্রাস’ আটকাতে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধের ভাবনায় বাম-বিজেপি

শাসকদলের ‘পঞ্চায়েতি সন্ত্রাস’ আটকাতে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধের ভাবনায় বাম-বিজেপি


মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে সন্ত্রাসের ছায়া রাজ্য জুড়ে। যেহেতু অভিযোগের তীর শাসকদলের দিকে তাই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিতে এবার এক জোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিরোধী দলগুলি। এদিন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ”বিজেপির লোকজনের উপরে হামলা হয়েছে বলে ধন্য ধন্য তো করব না! আক্রমণের নিশ্চয়ই নিন্দা করব। প্রথম দিন বামেরা বেশি মার খেয়েছিল, দ্বিতীয় দিন বিজেপি খেল। লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছে গণতন্ত্র বাঁচানোর। শাসক দল বলেছে, বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত চাই। আর রাজ্য নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন প্রত্যাহারের বাড়তি সময় রেখেছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

বাংলায় গণতন্ত্রের নতুন পাঠ ছাত্রছাত্রীদের দিতে হবে!” এই প্রসঙ্গে এদিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, ”প্রথম রাতেই বেড়াল মারতে না পারলে গৃহস্থের পাতে কিছু পড়বে না! বাংলা সব হারাতে বসেছে। সবহারাদের শৃঙ্খল ছাড়া হারানোর কিছু নেই। প্রতিরোধ চাই এখনই।” এদিন আলিমুদ্দিনে বসে বিমান বাবু ফের বলেন, ”পঞ্চায়েতে একের বিরুদ্ধে এক লড়াই কী ভাবে হবে, জানি না। এই তো সবে বিজেপি রামনবমীর ডাক দিল আর তৃণমূল রামসেবায় নেমে পড়ল। তার পরে হনুমান জয়ন্তী। এই রামসেবক আর হনুমান সেবকদের বিরুদ্ধে কী ভাবে ‘একের বিরুদ্ধে এক’ হবে?”অন্যদিকে সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অজিত পতি বলেন, ”এটা ঠিক, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। কিন্তু শাসক দল কাউকেই মনোনয়ন দাখিল করতে দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি-সহ সব বিরোধী একজোট হয়ে মনোনয়ন জমা করলে আপত্তি নেই।” এই বিষয় অধীর চৌধুরী মন্তব্য করেন, ”কে কার সঙ্গে জোট করবে, কে কার পাশে থাকবে, এটা ব্লক স্তরে ঠিক হবে। এলাকার পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন।” সমস্ত বিষয়কে উড়িয়ে দিয়ে এদিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”বিরোধীদের কিছু বলার নেই। ওরা এখন চেষ্টা করছে কী ভাবে দল বেঁধে কমিশনের উপরে চাপ বাড়ানো যায় আর রাজভবনের ফটকে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা যায়!”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!