পঞ্চায়েতে হিংসার বলি ‘কত স্বাভাবিক’ গোটা দেশকে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা রাজ্য May 16, 2018 রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনার সাক্ষী রাজ্যবাসী। এইসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোস্যাল মিডিয়ায় এদিন সকাল থেকেই সমালোচনা চরমে ওঠে। আর সোস্যাল মিডিয়ায় এইসব প্রতিক্রিয়াশীল সমালোচকেই ‘সদ্যজাত’ বিশেষজ্ঞে ‘ শিরোনামে অ্যাখ্যায়িত করলেন তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তাঁদের সমালোচনার জবাব দিতে তিনি একের পর এক টুইট করে সেই ‘সদ্যজাত’ বিশেষজ্ঞদের ইতিহাস শিক্ষা দিতে গেছিলেন। বিগত বছর গুলির পঞ্চায়েত নির্বাচনের উল্লেখ করে তিনি সন্ত্রাসের ধারাবাহিক পরিসংখ্যান ও বিবৃত করেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুয়ারী ৯০’এর দশকের মোট দশ বছরে যে কটি নির্বাচন হয়েছিলো তাতে মোট হতাহতের সংখ্যা ছিলো ৪০০জন। এরপরে ২০০৩ সালে নির্বাচনে রাজ্যে ৪০ জন মানুষের প্রাণ হানির ঘটনা ঘটে। তারপরে তৎকালীন সময়ের সাথে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনামূলক আলোচনা করে তিনি বললেন, “প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখ জনক। হ্যাঁ মানছি কিছু ঘটনা ঘটেছে। ৫৮ হাজার বুথের মধ্যে ৪০ টার মতো। শতাংশের হিসেবে তা কত দাঁড়ায় একবার দেখুন।” এবারের নির্বাচনে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যে যাবতীয় অভিযোগ বিরোধীদের ওপরে চাপিয়ে তিনি বললেন, ” মাওবাদিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আজ বাংলায় তিনটি আলাদা ঘটনায় গুলি করে বা কুপিয়ে তিনজন তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে।” তাঁর মতে এর আগে নির্বাচনের সময়ে রাজ্যে যে সন্ত্রাস হয়েছে তাঁর তুলনায় বর্তমানের পরিসংখ্যান যে অনেক কম সে ব্যাপয়ারে কেউ কোনো কথাই বলছেনা। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদের মন্তব্যের সমালোচনা করে বহু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ কটাক্ষ করে। তার মধ্যে একজন বললেন, “২০১৮-য় দাঁড়িয়ে ৯০-এর দশকের কথা বলতে হচ্ছে, এরথেকেই বোঝা যায় আপনার যুক্তির কোনও সারবত্তা নেই।” কেউ কেউ আবার এই সাংসদ কে রাজনীতি ছেড়ে বোর্নভিটা কুইজের আসরে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। সব মিলিয়ে নির্বাচন পর্ব বেশ উত্তেজনাময়। আপনার মতামত জানান -