প্রার্থী নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে,ভোটে কাজ না করা ও দল ছাড়ার হুমকি রাজ্য April 4, 2018 প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চরমে। চিন্তা বাড়ালো তৃণমূলের। এদিন জলপাইগুড়িতেও একই চিত্র চোখে পড়লো।একদিকে যেমন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি দলের যুব কর্মীদের প্রার্থী করার দাবি তুলেছেন।অন্যদিকে নাগরাকাটার তৃণমূল বিধায়ক শুক্রা মুণ্ডা ও একই দাবি তুলেছেন। তিনি আবার সরাসরি দলের ব্লক সভাপতি অমরনাথ ঝা-র দিকের আঙ্গুল তুলেছেন। পিছিয়ে নেই নাগরাকাটা ব্লক সভাপতি প্রকাশ নার্জিনারি-ও। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এই নিয়ে এদিন শুক্রাদেবী বলেন, “নাগরাকাটায় দলের ব্লক সভাপতি অমরনাথ ঝা তৃণমূলস্তরের কারও সঙ্গে কথা না বলে নিজের ইচ্ছামতো লোককে প্রার্থী করছেন।ফলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এতে দলের রেজাল্ট খারাপ হবে। বিষয়টি দলের জেলা সভাপতি এবং পর্যবেক্ষককে জানিয়েছি।তবে পছন্দসই প্রার্থী না পেলে অনেকে ভোটে কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন।”একই অভিযোগ তুলেছেন প্রকাশবাবু। তিনি বলেন, “প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দলের ব্লক সভাপতি নিজের মর্জিমাফিক কাজ করছেন। আমরা বলেছি, তৃণমূলস্তরের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে প্রার্থী নির্বাচন করুন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। যদি ব্লক সভাপতি আমাদের কথা না মানেন, তাহলে আমরা দল ছেড়ে দেব।” পাশাপাশি সৈকতবাবু দাবি করেছেন যে , “ বিরোধী শূন্য জেলা পরিষদ করতে হবে। সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতির ৯০ শতাংশ আসন যেন দখল করতে পারি আমরা। ৬৫ শতাংশের উপর ভোটার ৪৫ বছরের নিচে। তাই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উপযুক্ত নেতাদের উপযুক্ত জায়গায় প্রার্থী করতে হবে যাতে তৃণমূলকে জেতাতে কোনও অসুবিধা না হয়। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেন স্ক্রিনিং কমিটি তৈরি করা হয়। এই অনুরোধ করব অভিষেক ব্যানার্জি, অরূপ বিশ্বাস এবং সৌরভ চক্রবর্তীর কাছে।”ফলে গোলযোগ যে বেড়েছে বই কমেনি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার মতামত জানান -