সারাদিনের নীরবতা ভেঙে দিনের শেষে মুখ কর্ণাটক নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী জাতীয় May 16, 2018 “যাঁরা এই নির্বাচনে কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা আপনার সমর্থন স্বীকার করে করছি। আপনার জন্য আমরা লড়ব। দলের সমর্থনে আমাদের নেতা-কর্মীরা যে অবদান রেখেছেন কঠোর পরিশ্রম করেছেন তার জন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” সারাদিন নির্বাক দর্শক হওয়ার পর দিনের শেষে এমনটাই ট্যুইটারে জানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তীব্র ভরসা ছিল ২২ টি রাজ্যে কংগ্রেসের লাগাম আলগা হওয়ার পর কর্নাটকে এবার কংগ্রেসের হওয়া বইবে। আর এখানে কংগ্রেস জিতলেই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে হাতপার্টির জয়ের পথ প্রশস্ত হতো।রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন এ প্রসঙ্গে। কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছেতে জল ঢাললো কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের ফলাফল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপির জয়জয়কার ওখানে। তবে বিকেলের দিকে হঠাৎ পরিস্থিতি পাশা পাল্টে যায়। জেডি(এস) এর সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের দাবী জানিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু তা নিয়ে নিশ্চুপ থাকতে দেখা গেলো সোনিয়াতনয় রাহুল গান্ধীকে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাহুল গান্ধীর ট্যুইটার মন্তব্যে জল্পনার আভাস পাওয়া গেছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে, কর্নাটকের সমস্ত জনগনকে ভোট দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে শুধু কংগ্রেসের ভোটারদের কেন ধন্যবাদ দিলেন তিনি? তবে কি অভিমান প্রকাশ করলেন কংগ্রসের এই শীর্ষ নেতা? তবে অনেকেই তাঁর ট্যুইটারের জবাব দিয়েছেন। কংগ্রেসে ভোটের শতাংশ এগিয়ে থাকার খতিয়ান তুলে ধরে সভাপতিকে সান্ত্বনাও দিয়েছেন। এদিন আবার কর্নাটকে কংগ্রেসের অপ্রত্যাশিত হারের পর ‘রাহুল হটাও’ শ্লোগানে মুখরিতও হয়েছেন দলীয় রাহুলবিরোধীরা। রাহুল গান্ধীর স্থানে তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আনতে তৎপর তাঁরা। যে রাহুল গান্ধী একসময় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন প্রকাশ্যে, এদিনের হারের পর তাঁর ইচ্ছেকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিরোধীরা। তাঁর যোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তায় ফেলেছে প্রশ্নচিহ্ন। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে। আপনার মতামত জানান -