এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পঞ্চায়েত ঘিরে ‘তুমুল হিংসা’, প্রতিবাদে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস রাজভবনে, কমিশনে

পঞ্চায়েত ঘিরে ‘তুমুল হিংসা’, প্রতিবাদে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস রাজভবনে, কমিশনে


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হিংসাত্মক আচরণ কোনো নতুন বিষয় নয়। কিন্তু মনোনয়ন জমা থেকে শুরু করে প্রচারের সময়সীমা সবটাতেই জটিলতা তৈরী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধী শিবিরগুলির। আর এই অভিযোগ নিয়েই এদিন রাজভবন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি নেতারা। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, ”পঞ্চায়েতে অশান্তি আগেও হতো। কিন্তু কিছু জায়গায় বিরোধীরা সাধ্যমতো লড়াই করতে পারতো। আমরা কিছু জেলা পরিষদও পেতাম। কিন্তু এখন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করছেন, বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত চাই! মন্ত্রী বলছেন, পঞ্চায়েত দখল করতে পারলে পাঁচ কোটি টাকার কাজ দেব!”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তিনি আরো বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী তো বলছেন, তিনি নতুন বাংলার রূপকার! এত উন্নয়ন করে থাকলে বিরোধীদের ভোটে লড়তে দিতে ভয় কেন?” মনোয়ন জমা দিতে গেলেই নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বিরোধী শিবির আর তাই অনলাইন মনোনয়ন জমা নেওয়ার দাবি জানায় তাঁরা। এই বিষয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি জানান, “পঞ্চায়েত আইন সংশোধন না-করলে অনলাইনে মনোনয়ন চালু করা যাবে না।” এদিকে কমিশনের তরফ থেকে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে বলে খবর। জানা গেছে এদিন অভিযোগ জানাতে গিয়ে কমিশন দফতরের সামনেই পুলিশের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে রবীন দেবের নেতৃত্বাধীন সিপিএমের প্রতিনিধিগণ। এদিন বিজেপি নেতা তৃণমূলের দিকে সরাসরি আঙ্গুল তুলে বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছেন যে, ভোটে হারা-জেতা পর্যন্ত কেউ যেতেই পারবে না! মনোনয়নের সময়েই হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে, ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হবে!” এদিকে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ব্যঙ্গ করে বলেন, ”রাজ্যপাল তো বিজেপির প্রতিনিধি। এখন ওঁর কাছেই যাচ্ছেন। তা হলে কি ছুতমার্গ উঠে গেল?” এর পাল্টা জবাবে শাসকদলকে কটাক্ষ করে অধীরবাবু বলেন, ”বিরোধীদের কথা আর কে শুনবে! রাজ্যপালের ভাগ্য ভাল যে, রাজভবন এখনও নীল-সাদা করে দেওয়া হয়নি!”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!