রাজ্যসভা ভোটে মিলেও মিলছে না কংগ্রেস ও তৃণমূল, থাকছে প্রশ্ন জাতীয় রাজ্য March 14, 2018 জাতীয় কংগ্রেসের সাহায্য ছাড়াই আঞ্চলিক দল গুলিকে সাথে নিয়ে বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের ভাবনার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিকে গত সোমবার তৃণমূলের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙঘভি মনোনয়ন পেশ করলেন।নারদ-কাণ্ডে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর আবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে তৃণমূলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন এই অভিষেক মনু সিঙঘভি । যে কারণে তাঁকে দলের রাজ্য কর্মসূচিতে বয়কট করেছিলেন অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নান প্রমুখ অভিজ্ঞ নেতা। তাই মনে করা হচ্ছে কংগ্রেসের মনোনয়নে আর তৃণমূল সমর্থনে অভিষেক মনু সিঙঘভি র রাজ্যসভায় আসন লাভের প্রয়াসকে কোনোভাবেই সমর্থন করছেন না তাঁরা।কংগ্রেস বিধায়কদের জন্য সিঙ্ঘভির দেওয়া নৈশভোজের আমন্ত্রনকে কার্যত অবজ্ঞা করে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন মান্নান সাহেব। অন্যদিকে সোমবার বিধানসভায় যখন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মান্নানের ঘরে এসে সিঙ্ঘভির সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীদের আলাপ করিয়ে দিতে চাইছিলেন তার আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সেখান থেকে বেরিয়ে যান। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এই প্রসঙ্গে বললেন , ”আমরা তো বলেইছিলাম, দু’বছরে দু’বার রাজ্যসভার নির্বাচন হচ্ছে। এক বার সিপিএম প্রার্থী আমাদের সমর্থনে জিতুন, পরের বার আমাদের প্রার্থীকে ওরা সমর্থন করুক। ওদের পার্টি কংগ্রেসের জন্য কে বসে থাকবে?” তৃণমূল সরকারের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করা নেতা মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য , ”হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্ত। কিছু করার নেই!” এ বিষয়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে জানালেন, ”রাজনীতিতে সব সিদ্ধান্ত সব সময় পছন্দ না হলেও কিছু করার থাকে না।” আর এই বিভ্রান্তির বাতাবরণে আখেরে লাভ দেখছে বিজেপি। কেননা বাংলা থেকে বিজেপির রাজ্যসভায় কাউকে পাঠানোর প্রশ্ন নেই।আর তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা জনমানসে বার্তা দিচ্ছেন যে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বাম শেষমেশ সব এক। বাকিদের সঙ্গে লড়াইটা বিজেপির। আপনার মতামত জানান -