এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শিশু পাচার কাণ্ডের মতোই ভাগাড় কাণ্ড ধামাচাপা দিতেই কি কমিটি? উঠছে প্রশ্ন

শিশু পাচার কাণ্ডের মতোই ভাগাড় কাণ্ড ধামাচাপা দিতেই কি কমিটি? উঠছে প্রশ্ন


পঞ্চায়েত নির্বাচন বাদ দিলে এই মুহূর্তে রাজ্যের সব থেকে বড় বিতর্কিত খবর হলো ভাগাড় কান্ড। ঘটনার সূত্রপাত হয়  বজবজের একটি ভাগাড় থেকে মরা পশুর পচা মাংস কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তারপরে সমাজের নানা স্তর থেকে পরতে পরতে উন্মুক্ত হয় ভাগাড় কান্ডে জড়িত অপরাধীদের নাম। আসন্ন পঞ্চায়েত নিরবাচন, রাজ্য রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকা মুখ্যমন্ত্রী এতদিন এই কান্ড নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও গত মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে তিনি প্রথম বিবৃতি দিলেন। তিনি জানালেন এই ঘটনার তদন্তের প্রয়োজনে তিনি একটি কমিটি তৈরি করেছেন ।  মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তৈরী এই কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই বুধবার সিআইডি পুরো পচা মাংস কাণ্ডের তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছে। বজবজ থানায় দায়ের করা মূল মামলাটি সিআইডি নিজেদের দায়িত্বে নিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করতে চলেছে। এই সময়েই তদন্তের ভবিষ্যত নিয়ে নানা সংশয় সূচক প্রশ্নের জন্ম হচ্ছে। কারণ অতীতে একই ভাবে শিশু পাচার নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় উপস্থিত থেকে  বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে সেই কমিটি সদস্য মনোনীত করে কমিটির কার্য পদ্ধতি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়’কে। কী হলো সেই কমিটির ভবিষ্যত এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে , কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল মান্নান বললেন, ”সেই কমিটির জন্ম ও মৃত্যু এক সঙ্গে হয়ে গিয়েছিল। দু’টো বোধহয় বৈঠক হয়েছিল। একটিতে আমি বাইরে থাকায় উপস্থিত থাকতে পারিনি। দ্বিতীয়টিতে ঘণ্টাখানেক বসে থাকার পরেও পার্থবাবু না আসায় বৈঠকটি বাতিল হয়।” পরে আর কোনও বৈঠকই আর হয়নি সেই কমিটির। রিপোর্ট তৈরী তো পরের কথা। সিআইডি-ই তদন্ত করেছিলো শিশু পাচার নিয়ে । তদন্তে বিরোধী দলের কয়েক জন নেতার নাম উঠে এলেও বেশি দূর গড়ায়নি সেই তদন্ত। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই ভাগাড় কান্ডে নির্মিত কমিটির ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে। মান্নান সাহেব বললেন,  ”এসবই হচ্ছে চোখে ধুলো দেওয়ার কমিটি। আমি কোনও বিশেষ দলকে দোষ দেব না। কিন্তু এত বছর ধরে পচা মাংসের চক্র চলতে থাকল আর কোনও পুরসভা কিছুই জানতে পারল না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।” যদিও মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেছেন, ”আমি জানি অনেকেই ভয়ে মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। মানুষের দুশ্চিন্তা দূর করতে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা দ্রুত সকলকে জানিয়ে দেবে কমিটি।” তথাপি অতীতের দিকে তাকালে সংশয় হয় বৈকী !

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!