বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা ‘ইমপিচ’ প্রস্তাব নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় রাজ্য April 22, 2018 কংগ্রেসের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচ করার প্রচার প্রস্তাবে সাড়া দিলো না পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস দল। তামিলনাড়ুর ডিএমকে দল প্রথমে এই প্রস্তাবে সাক্ষর করলেও পরে তা প্রত্যাহার করে। এই উদ্যোগে সামিল হলো না বিহারের লালুপ্রসাদের আরজেডি দল। সব মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ইমপিচ করার প্রস্তাবে সাত দলের ৭১ জন সাংসদ স্বাক্ষর করেন। পরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে বিরোধীদের একাংশ চিঠি দিয়ে জানায় যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ইমপিচ প্রস্তাবে ‘সংসদ চলাকালীন সংগ্রহ করা হয়েছিল ওই ৭১ জনের স্বাক্ষর।’ সাক্ষরকারী ঐ ৭১ জনের মধ্যে ৭ জনের সাংসদ পদের মেয়াদ ফুরিয়েছে । আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে সেই কারণে ইমপিচ প্রস্তাবের আবেদন যাতে বাতিল না হয়ে যায় তাই বিরোধী শিবির রাজ্য সভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানায়।এখন স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলের মনে প্রশ্ন আসছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সব ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধীতা করলেও এইক্ষেত্রে কেনও এই কাজে বিরত থাকলো। দলের শীর্ষ সূত্রের দাবি অনুযারী শাসক দলের আপত্তি থাকলে প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচ করা কঠিন। কারণ রাজ্যসভায় ওই প্রস্তাব গৃহীত হবে কি না, তা ঠিক করবেন চেয়ারম্যান। এক্ষেত্রে তৃণমূলের যুক্তি, লোকসভার আগে বিরোধী জোটের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ ভেস্তে গেলে শাসক শিবিরের মনোবল বাড়ত। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো লোকসভার আগে তৃণমূল যে রাহুল তথা কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত রাস্তা খোলা রাখছে, বিজেপি শিবিরকে সেই বার্তা দিয়ে রাখা। তবে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযারী দুর্নীতির অভিযোগে দলের কিছু শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে মামলা চলছে। তাই প্রধান বিচারপতির ইমপিচের পক্ষে সরব হয়ে ভোটের আগে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সংঘাতে যাওয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। আপনার মতামত জানান -