‘ধীরে-চলো’ নীতি বাঘ-হত্যাকাণ্ডের তদন্তে, পিছনে কি নির্বাচনী রাজনীতি? উঠছে প্রশ্ন রাজ্য April 19, 2018 গত শুক্রবার দুপুরে লালগড়ের কাছে বাঘঘরার জঙ্গলে একটি বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যাচ্ছে ঐদিন সকালেই বাঘের আক্রমনে গুরুতর আহত হয়েছেন এলাকার স্থানীয় অধিবাসী বাবলু হাঁসদা ও বাদল হাঁসদা।অভিযোগ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যেই এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হত্যা রহস্যের তদন্তে অতটা সক্রিয়তা দেখাচ্ছেনা রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন সহ বন -দফতর। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন প্রাথমিক তদন্তে বাঘ হত্যা রহস্যের কিছু সূত্র পাওয়া গেলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের অল্প দিন আগে এলাকার মানুষ জনকে আটক করে জেরা করলে নির্বাচনের সময় পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল ছাড়াও রাজ্যের বিচ্ছিন্ন অংশে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সঞ্চার হবে। যা সুষ্ঠভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী সময়ে রাঘ হয়া রহস্যের পূর্ণ তদন্ত সম্ভব হবে। এদিন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এই প্রসঙ্গে বললেন, ”বাঘ হত্যার ঘটনায় বন দফতর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে ঠিকই। তবে নির্দিষ্ট ভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। কারও নাম উল্লেখ করা নেই অভিযোগপত্রে।” অবশ্য বন দফতরের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন যে বাঘটির উপর আগে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল তা ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকেই কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে বাঘের মাথায় আঘাত করে তাকে খুনের কথা বলা হয়েছে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বল্লম দিয়ে খোঁচানো ও টাঙি দিয়ে বাঘটাকে কোপানো হয়। ঐ আধিকারিক এদিন আরোও জানালেন, ”বাঘের মাথায় বিনা বাধায় ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা গেল মানে বুঝতে হবে সে নিস্তেজ বা আচ্ছন্ন হয়ে ছিল। ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট পেলেই সব পরিষ্কার হবে।” আপনার মতামত জানান -