এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আসন্ন পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে আটকাতে নীচুতলায় বিজেপি-কংগ্রেস-বামেদের বৃহত্তর জোট

আসন্ন পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে আটকাতে নীচুতলায় বিজেপি-কংগ্রেস-বামেদের বৃহত্তর জোট


আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে ঠেকাতে এবার নিচুতলায় বিরোধী জোট গঠিত হচ্ছে। জেলা পরিষদীয় স্তরে নির্দেশিকা মেনে সার্বিক জোট না হলেও পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল বিরোধী সার্বিক জোট হচ্ছে বলে খবর। যদিও সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী ও বিজেপির দিলীপ ঘোষের মতো শীর্ষ নেতারা এই সার্বিক জোট সমর্থন করছেন না। বামদল তৃণমূলকে ঠেকাতে বিজেপি দলের সাথে আপোষ না করার নির্দেশিকা আগে থেকেই জারি করে দিয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েতের নিচু তলায় সমস্ত রঙের বিচার ছেড়ে দিয়ে চলছে লড়াইয়ের প্রস্তুতি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এদিন কংগ্রেস নেতা অরুনাভ ঘোষ জানান, ”আগে গণতন্ত্র বাঁচুক। তার পরে বাকি সব ভাবা যাবে!” এদিকে ফরওয়ার্ড ব্লকের জাতীয় সম্পাদক জি দেবরাজন বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের ডাক দিয়েছেন বলে খবর। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ”তৃণমূল আমাদের দলীয় দফতর দখল করেছে, কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তাদের কী ভাবে সমর্থন করব?” এর পরিপ্রেক্ষিতে ফরওয়ার্ড ব্লকের অন্য এক নেতা বলেন, ”কোচবিহারে আমাদের মূল লক্ষ্য উদয়ন গুহকে আটকানো। তার জন্য যার সমর্থন লাগে, তা তো নিতে হবে!” বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আনুষ্ঠানিক ভাবে একলা লড়াই করার প্রচার চালালেও কিছু কর্মী সভায় সিপিএম ও কংগ্রেসের সাথে জোট বাধার কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের সম্পাদক মন্ডলীর এক সদস্য বলেন, ”বাঘকে ঠেকাতে কুমিরের পিঠে চাপলে কুমিরই পরে খেয়ে ফেলবে!” এই সমস্ত কিছুকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ”বিরোধীদের হাতে কোনও অস্ত্র নেই। সঙ্গে মানুষও নেই। উন্নয়নের জন্য মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছেন।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!