সৌন্দর্য্যায়নের আড়ালে রাজনৈতিক প্রচারের ‘মাস্টারস্ট্রোক’ শাসকদলের রাজ্য April 7, 2018 স্থান দক্ষিণ কলকাতার কসবা । এখানেই নানা রঙের কার্টুনে সেজে উঠছে বিভিন্ন এলাকার দেওয়াল। তবে উল্লেখ্য এই কার্টুনগুলি কোনো কমিক্স চরিত্র নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে সফলভাবে বাস্তবায়িত ও আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘সবুজ সাথী’, ‘কন্যাশ্রী’, ‘মিড ডে মিল’-সহ একাধিক প্রকল্পের ছবি। রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নজিরবিহীন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে রাজ্যের সাধারণ মানুষ কে ওয়াকিবহাল রাখার উদ্দেশ্যে দেওয়াল অঙ্কনের মতো এই পরিকল্পনা জানালেন কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্তকুমার ঘোষ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে সমগ্র পরিকল্পনা টি তাঁর একক ভাবনার প্রতিফলন। এদিন সুশান্ত বাবু বললেন, ” ওয়ার্ডের শতাধিক দেওয়ালে ওই ধরনের ছবি আঁকা হবে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০টি ছবি আঁকা হয়ে গিয়েছে।” সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, ” লেখার চেয়ে ছবি বা কার্টুন মানুষকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করে। তাই দেওয়াল চিত্র। রোজই ওই ছবিগুলি দেখতে পাবেন এলাকাবাসী। তাঁদের মনে স্থায়ী হয়ে যাবে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের চিত্র।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিগত বছরগুলিতে মানুষের জন্য জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে প্রকল্পগুলি নিয়েছেন, সেগুলি দেওয়াল চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি।” তাঁর নেওয়া পদক্ষেপের সুফল বিষয়ে সুশান্ত বাবু বললেন, “ওই দেওয়াল চিত্রের মাধ্যমে যেমন সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে, তেমনই রাজনৈতিক বার্তাও যাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বারবার ওই ছবিগুলি দেখতে দেখতে, স্থানীয় বাসিন্দারা ওই প্রকল্পগুলির কথা আর ভুলবেন না। দ্বিতীয়ত, যে দেওয়ালে কার্টুনগুলি আঁকা হয়েছে, ভোটের সময় দেওয়ালগুলি বিরোধীদের পক্ষে দখল করাও অসম্ভব। সবচেয়ে বড় সুফল হল, ‘কন্যাশ্রী’, ‘যুবশ্রী’র মত প্রকল্পগুলির ছবি দেখিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের ভোটাদাতাদেরও প্রভাবিত করা যাবে।” আপনার মতামত জানান -